উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ্ মো. রওশন কবীর জানান, উপজেলায় এবার মোট ২৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪০ হেক্টর বেশি। তিনি আরও জানান, গত রোপা আমন মৌসুমে মোট আবাদি জমির শতকরা ৩৫ ভাগ জমিতে জিরা কাটারি আবাদ হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে এবার শতকরা ২৫ ভাগ বেড়ে হয়েছে ৬০ ভাগ।
কৃষি অফিস সূত্র আরও জানায়, এখানে জিরা কাটারি প্রতি ৩৩ শতকের বিঘা জমিতে ১৩ মণ ফসল পাওয়া গেছে। বাজারে এ ধান কেজির মণে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্র আরও জানায়, নতুন এ ধানের কাটা মাড়াই এখন শেষ পর্যায়ে। এবার উচ্চফলনশীল নতুন এ জাত ধান থেকে ৮৬ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে বলা হয়েছে।
উপজেলার মনমথপুর ইউনিয়নের কৃষক জাহেদুল ইসলাম জানান, জিরা কাটারি ধানের ফলন বেশি, বাজারে দাম বেশি, সুগন্ধিযুক্ত পোলাওয়ের চাল হিসেবে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ কারণে এ অঞ্চলের কৃষক নতুন এ ধান চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ছেন। ধান ব্যবসায়ী মহিবুল বলেন, বিদেশে রপ্তানি হওয়ার কারণে নতুন এ জাত ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।