কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যশোরে ভেজাল দস্তা সার উৎপাদন ও বাজারজাতের ঘটনায় বারবার সিলগালা হলেও তা উপেক্ষা করে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে বিতর্কিত সাউদার্ন এ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। নিবন্ধন না থাকায় খাতাকলমে বন্ধ থাকলেও এ মৌসুমে ভেজাল সার তৈরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এ চক্র। সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী মনোহাইড্রেড জিংক সালফেডে জিংকের ওজনভিত্তিক পরিমাণ কমপক্ষে ৩৬ শতাংশ থাকার নিয়ম থাকলেও সাউদার্ন এ্যাগ্রোয় পাওয়া গেছে মাত্র ১ শতাংশ। অর্থাৎ সবই ভেজাল।খবর জনকণ্ঠ অনলাইনের।
কোন কাগজপত্র না থাকায় গত ১০ ডিসেম্বর অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। ভেজাল দস্তা উৎপাদনের জন্য বছরকয়েক আগে থেকে কৃষি বিভাগের কালো তালিকায় এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরও কখনও বন্ধ হয়নি এটি। মাঝে মাঝে চক্রের লোকজন বাজারজাত ও কারখানা বন্ধের নাটক সাজালেও ভেজাল সার প্রতিনিয়তই বাজারে দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকবার কৃষি বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সাউদার্ন এ্যাগ্রোর ভেজাল সার বিনষ্ট করেছে। সে ছবি পত্রিকায়ও এসেছে।
তারপরও বহাল তবিয়তে চলছে ভেজাল কারবার। ভেজাল দস্তা সার কারবারি মতিয়ার গং পাথরের কুচি, ডলোমাইট পাউডার, পোড়া মাটি, হোয়াইট সিমেন্ট, হাওড় অঞ্চলের শামুকের কুচির সঙ্গে রং দিয়ে রাতের আঁধারে এখন সার উৎপাদন করছে। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক গবেষণাগার সাউদার্ন এ্যাগ্রোর উৎপাদিত সারের বিষয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তা হতবাক হওয়ার মতো। ওই সার কৃষক ক্ষেতে ব্যবহার করে ভাল ফসল তো দূরে থাক, সর্বস্ব খুইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মাটির ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কৃষিবিদরা। ওই রিপোর্টে দেখা যায়, জিংক সালফেড মনোহাইড্রেডে সরকারী বিনির্দেশ অনুয়ায়ী ওজনভিত্তিক জিংক থাকার কথা কমপক্ষে ৩৬ শতাংশ।
কৃপ্র/ এম ইসলাম