কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশালের সরকারি মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। স্থানীয়ভাবে আহরিত মাছ সংগ্রহ ও বিক্রয়ের জন্য বান্দ রোডে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রটি চালু করা হয়।এসময়ে দুই বছর চালু থাকার পর কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, ১৯৮৫-৮৬ সালে বান্দ রোডে ১.২৩ একর জমিতে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কেন্দ্রটি স্থাপন করে। শুরু থেকেই অপরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রটি স্থাপনের অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। অন্যদিকে ২০০৭ সালে স্থানীয় প্রশাসন নগরীর পোর্টরোডে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা জিয়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়।
প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পর চালু হলেও মাত্র দুই বছরের জন্য কেন্দ্রটি সচল থাকে। ওই সময়ে এখান থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। তবে বিএডিসির কর্মকর্তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা পোর্ট রোডের বাজার চালুর জন্য তত্পর হয়ে উঠেন। ২০০৯ সালে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের দাবির প্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের তত্কালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরণ পোর্টরোডের পাইকারি বাজার অবমুক্ত করে দেন। এতে সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। পোর্টরোডের পাইকারি বাজারে কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই মাছ কেনাবেচা হয়। এ থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায় না।
স্থানীয়রা জানান, সীমানাপ্রাচীর না থাকায় সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাদকসেবী ও চোরাকারবারিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর এটি ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়। এ কেন্দ্রে বিভিন্ন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রটি সচল থাকলে এসব দুর্গতি থেকে মুক্তি পাওয়া যেত।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ব্যবহার বেশ অসুবিধাজনক। তাছাড়া বিএফডিসির কর্মকর্তারাও বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তাই এটি ব্যবহারে কেউ আগ্রহী নন। বিএফডিসির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম জানান, সর্বশেষ ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ বেচাকেনা ও প্যাকেটজাত করা হয়েছিল। এর পর থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর বিআইডব্লিউটিএর কাছ থেকে অধিগ্রহণকৃত ২০ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন ভূমিদস্যুরা।
সুত্রঃ বনিক বার্তা / কৃপ্র/এম ইসলাম