কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ গাইবান্ধার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদ-নদীর পানি কমে গিয়েছে। ফলে নদ-নদীগুলো শাখা-প্রশাখায় ভাগ হয়ে এখন শীর্ণকায় রূপ নিয়েছে। আকস্মিক পানি শূন্যতায় প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা নৌ ঘাটগুলোর অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। ইতিমধ্যে অনেক নৌ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। যে সব নৌ ঘাট এখনও কোন রকমে টিকে রয়েছে সেগুলোরও এখন বেহাল দশা। পানি অভাবে নৌযান কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি।
গাইবান্ধার বালাসীঘাট এলাকায় নদী পাড় থেকে বর্তমানে ১৭টি রুটে যাত্রীবাহী যান্ত্রিক নৌকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অথচ কিছুদিন আগেও এখান থেকে ৩০টি রুটে এখান থেকে অবাধে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করতো। পানি সংকটের কারণে নৌ যোগাযোগের এমন অবস্থা।
বালাসী ঘাটের নৌকা মাঝি হরেন চন্দ্র দাস জানান, শুধু তাই না। বর্তমানে চলাচলকরা ওই ১৭ রুটের যান্ত্রিক নৌকাগুলো জেগে উঠা চরের কারণে বিকল্প পথে অনেক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। একারণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগছে দ্বিগুণেরও বেশি।
জেলা পরিবেশ আন্দোলনের জিয়াউল হক জনি জানান, অপরদিকে গাইবান্ধার ঘাঘট, আখিরা, মানস, বাঙ্গালী ও করতোয়াসহ ছোট ছোট নদী গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ওইসব নদীতে ইতিপূর্বে স্থাপিত সেচ যন্ত্রগুলো এখন পানি সংকটের মুখে পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট সেচ যন্ত্রের আওতাধীন বোরো ধানের জমির জন্য বিকল্প পানির উৎস খুঁজতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনাসহ ছোট বড় সবগুলো নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম