কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীর চরাঞ্চলে একই সঙ্গে পাঁচ প্রকারের বেশি ফসল চাষ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এ অঞ্চলের ৮৫ ভাগ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল।খরা-বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে চাষবাস করে এ অঞ্চলের মানুষ বেঁচে থাকে। প্রতি বছর বন্যার ভয়াবহতায় পাহাড়ি ঢল, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গণের তাণ্ডবে বালি ও পলি মাটি বন্যার পানির সঙ্গে জমিতে পড়ায় এখানকার ভূমি অধিকাংশ অসমতল। তাই ভূমির প্রকার ভেদে এখানে ফসল চাষে পার্থক্য দেখা যায়।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জমিতে একই সঙ্গে সাত ধরনের ফসল চাষে সাফল্য অর্জন করছে। সমতল ভূমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হলেও অসমতল ও বালি মাটিতে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতীয় রবিশস্য। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সোনাপুর, ঘুঘুমারী, চর ফলুয়ার চর, চর বাঘমারা, চর গয়টাপাড়া, চর লাঠিয়ালডাঙ্গায় অর্ধশত একর জমিতে চাষ করা হয়েছে সাত মিশালী ফসল।
লাঠিয়াল ডাঙ্গার কৃষকরা জানান, আমাদের চরাঞ্চলের জমি অসমতল ও বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরোর পরিবর্তে একই জমিতে একই সঙ্গে ৬/৭ প্রকার ফসল চাষে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। শুরুতেই আখ চাষের জন্য জমি তৈরি করেন। পরে ওই জমিতে প্লট করে লালশাক, পাট, কলমি শাক চাষ করেন। এসব সবজি রোপনের ১৫ দিন পর সারিবদ্ধ ভাবে বাদাম, মরিচ, ঢেড়স, ও পুইশাক বীজ রোপন করেন। এক মাসের মধ্যে সবজি বাজারে বিক্রি করা হয়। বাকি সাতটি ফসলের মধ্যে বেগুন, মরিচ, ঢেড়স, অবশিষ্ট থাকে আঁখ। আখের গাছ উপযুক্ত হওয়ার আগেই বাদাম ও সবজি জাতীয় ফসল উঠে যায়। আখঁ ক্ষেতে এসব সবজি চাষ করায় জমির পরিচর্যা ভালো হয়। ফলে আখের ফলনও বেশি হয়।
কৃপ্র / এম ইসলাম