কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে রবি মৌসুমের শুরু থেকে শীতকালীন শাক-সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমি প্রস্তুত, বীজ বপণ, চারা রোপন, পানি দেয়া, সার দেয়া, জমি থেকে আগাছা পরিস্কারসহ নানাবিধ কাজে উপজেলার রাংটিয়া, গোমড়া, ফাকরাবাদ, সন্ধ্যাকুড়া, নলকুড়া, ভারুয়া, ধানশাইল, চাপাঝোড়া, মানিককুড়া, বনগাঁও, চতল, হাতিবান্দা, মালিঝিকান্দা, পাগলার মুখ, কালিনগর, বালিয়াগাঁও গ্রামগুলোতে শাক-সবজি আবাদকারী চাষীদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে পাওয়া যাচ্ছে। দিনব্যাপী চলে তাদের সবজি আবাদের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
তাদের আবাদকৃত সবজির মধ্যে রয়েছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাল শাক, মূলা, বরবটি, পালং শাক, লাউ, শিম, আলু, বেগুন প্রভৃতি। চলতি মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আগাম কিছু সবজি ইতিমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। যার বাজার মূল্য অনেক ভালো। আগাম শাক-সবজি আবাদকারীরা এক্ষেত্রে অধিক লাভবান হচ্ছেন। ফলে অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে ক্রেতা সাধারণদের প্রত্যাশা এবার শীতকালীন সবজির ভালো আবাদ হলে শাক-সবজির চড়া বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ১ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২শ’ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে।
সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের মো.শাহাদাত হোসেন বলেন, গত বছর ২৫ শতাংশ জমিতে ৭ হাজার টাকা ব্যয়ে শিম চাষ করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এবার ৪৫ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছি। ফলন ভালো হলে অধিক লাভবান হবো। নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রচুর শাক-সবজি আবাদ হচ্ছে। এতে করে বহু পরিবার স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কোরবান আলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম শাক-সবজির আবাদ ভালো হয়েছে। সামনের কয়েক মাস আবহাওয়া ভালো থাকলে শাক-সবজির আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম