এস এম মুকুল: কৃষি ক্ষেত্রে বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে প্রকৃতি ও জনসংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় করে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার আগে যেখানে সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন চাহিদায় হিমশিম খেতে হতো, কালের পরিক্রমায় স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পর ষোল থেকে আঠারো কোটি মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটানোর সংগ্রামে নিয়োজিত বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী এবং কৃষকরা।
কৃষিকে বহুমুখীকরণে বাংলাদেশ এখন অনেক অগ্রগামী। কৃষি সেক্টরে ধান, পাটের পাশাপাশি মৎস্য ও পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, হাঁস-মুরগি পালন, নার্সারি, বনায়ন এবং কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটছে। তাই কৃষি আমাদের সমৃদ্ধির অন্যতম উৎস। কৃষি মানে এখন আর শুধু ধান, পাট আর কিছু শস্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নেই।
কৃষিতে সারাবছর ফলানো হয় সবজি, ফল, মাছ চাষ, গবাদি পশুপালন এমনকি কৃষিভিত্তিক শিল্পস্থাপন হচ্ছে। তাই কৃষকের ন্যায্য প্রাপ্য অধিকার দিতে হবে। দিতে হবে সম্মান, ফসলের নায্যমূল্য, সার, সেচ, বীজ, ফসল সংরক্ষণ, ঋণ সুবিধা, সুদ মওকুফ সুবিধা, স্বাস্থ্য, কৃষি সেবা, প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ কৃষিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন গ্রাম বাংলার কৃষক।
লেখক : কৃষি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
কৃপ্র/ এম ইসলাম