কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রংপুর সদ্য শেষ হওয়া রোপা আমন মৌসুমে চাষিরা এই অঞ্চলে রেকর্ড পরিমান ৩১ হাজার ৬ শ ২৯ টন সুগন্ধী চাল উৎপাদন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) এর তথ্য অনুযায়ী চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো দাম হওয়ায় সম্প্রতিক বছরে চাষিরা সুগন্ধী চাল আবাদে উৎসাহিত হচ্ছে। ডিএই-এর উদ্যান বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মেসবাউল ইসলাম বাসসকে জানান, এ বছর চাষিরা ১৩ হাজার ৬শ ৬২ হেক্টর জমিতে সুগন্ধী চাল চাষ করে, যা হেক্টর প্রতি উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ৩১৫ টন।
এ বছর চাষিরা বিআরআরআই ধান- ৩৪, বেগুনবিচি, কালিজিরা, কাটারিভোগ, রসুলভোগ, বাদশাভোগ, উকনিমধু, খিরশাভোগ, বাবুইভোগ, চিনিশঙ্কর, তিলকপুর, চিনিগুড়া, জামাইসোহাগী, বাশকানিসহ বিভিন্ন সুগন্ধী ধান চাষ করেছে। তিনি বলেন, মাঝারি ধরনের নীচু জমি সুগন্ধী চাল উৎপাদনের জন্য সহায়ক এবং অতিরিক্ত সেচ এর উৎপাদন বাড়াতে পারে। চাষিদের মাঝে সুগন্ধী চাল আবাদে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ রাইস রিসার্স ইনিস্টিটিউট (বিআরআরআই) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এ মজিদ দেশের উত্তরাঞ্চলে সুগন্ধী চালের উৎপাদনে সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় আবাদ বৃদ্ধির কথা বলেন। ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম সুগন্ধী চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জমির উর্বরাশক্তি রক্ষায় সমন্বিত কীটনাশক ও সার ব্যবহার ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম