কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কসমস ফুলের আদিনিবাস মেক্সিকো।এটি সাধারণত ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। গোলাপী, সাদা, বেগুনী রং এর হয়ে থাকে। পাতার কিনারাগুলি খাজকাটা থাকে। লম্বা ডাটা, এক বা একাধিক ফুল হয়। এটি অঙ্কুরোদগমে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে এবং তাপমাত্র ২৪°C এবং এটি ফুল দেওয়া শুরু করে ৬০ থেকে ৯০ দিমের মধ্যে। এর উপযুক্ত মাটির pH ৬.০ থেকে ৮.৫ হলে ভাল হয়। পূর্ণ সূর্যালোকে এবং কিঞ্চিত ছায়াযুক্ত জায়গায়ও জন্মায়। এর সৌন্দর্যে প্রজাপতি ও কীটপতঙ্গকে সহজেই আকৃষ্ট হয়।
কসমস এর বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus, সাধারণত এটিকে কসমস বা মেক্সিকান এষ্টার বলে ডাকা হয়। এটি একটি মাঝারী আকৃতির herbaceous উদ্ভিদ। কসমস মূলত শীতকালীন ফুল। তবে ফুল ফোটার ব্যাপ্তি সময় বসন্তকাল পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। একই গাছে একাধিক রঙের ফুল ফোটে। সাদা, লাল, গোলাপী, বেগুনি, হলুদ, কমলা মিলিয়ে অসংখ্য রঙের বাহারি কসমস ফুল দৃষ্টিনন্দন ও নয়নাভিরাম। সদ্য ফুটন্ত ফুলে হালকা সুগন্ধ বিদ্যমান থাকে।
সু-সজ্জিত নমনীয় কোমল ৮টি পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট কসমস ফুলের, মধ্যে পরাগ অবস্থিত। পাপড়ির কিনারায় খাঁজকাটা থাকে। ফুল ঊর্ধ্বমুখী এবং ফুলের বোঁটা বেশ লম্বা হয়ে থাকে। পত্রকক্ষ থেকে ফুলের বোঁটা বের হয় এবং ফুল ফোটে। ফুটন্ত ফুলের সৌন্দর্য বেশ কয়েকদিন স্থায়ী থাকে তারপর ঝরে যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়, বীজের আকার চিকন লম্বা, পরিপক্ব বীজের রং কালো হয়ে থাকে এবং ওজনে খুবই হালকা হয়।
বীজ ও ডাল কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এর বংশবিস্তার করা হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। জমিতে বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর। সাধারণত বীজ থেকে চারা গজানোর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর থেকে গাছে ফুল ফুটতে থাকে। সরাসরি জমি ও টবে এ ফুল উৎপাদন করা যায়। রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশে সু-নিষ্কাশিত দোঅাঁশ মাটি এ ফুল চাষের জন্য উত্তম, তবে এঁটেল দোঅাঁশ মাটিতেও ভালো জন্মে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম