কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১০ সহস্রাধিক মানুষ বংশানুক্রমে মৃিশল্পের সাথে জড়িত। তাদের তৈরি হাড়ি-পাতিল, পুতুল, খেলনা, ব্যাংক, ফুলের টব, নার্সারির টালি, মুড়ি ভাজার ঝাঝরি, কলকি, প্রতিমাসহ বগুবিধ খেলনার এক সময় চরম কদর ছিল। কালের বিবর্তনে এর ব্যবহার হ্রাস ও উত্পাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে কুমার সম্প্রদায়ের অনেকেই পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
কলসকাঠি বন্দরের জুরান পাল, সুনিল পাল, নিমাই পাল, শুকুমার পাল, মঞ্জু পাল, শুকরঞ্জন পাল, শংকর পাল, মধু পাল ও মহেষপুরের শিপ্রা রানি পালের সাথে কথা বলে জানা যায়, এটেল মাটি, খেজুর গাছ, কলাগাছের জ্বালানি, খড় কুটা, লাল মাটি ও রঙসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া।
অতীতে কুমারদের মাটি কিনতে কোনো পয়সা লাগত না। এখন এঁটেল মাটি পয়সা ছাড়া কেনা যায় না। এরপরও অনেকেই বিকল্প কোনো পেশা বা অন্য পেশার সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে পৈতৃক পেশায় কোনো রকমে টিকে আছেন। যারা টিকে আছেন তাদের জীবনে নেমে এসেছে অন্তহীন দুর্দশা।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম