কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আলোকলতা বা স্বর্ণলতা ছেলেবেলায় এ লতা ছিল আমাদের কাছে বিস্ময় বা কৌতূহলের বিষয়। অনেকবার মাটির সঙ্গে সংযোগ খুঁজেছি, পাইনি। পরে জেনেছি, এরা পরজীবী। অন্য গাছের ডালপালাই প্রিয় আবাস। আলোকলতা গ্রামে এখনো কিছুটা সহজলভ্য। তবে লতার তুলনায় ফুল ততটা সহজলভ্য নয়।
আলোকলতা (Cuscuta reflexa) হলুদ-সোনালি রঙের, নরম ও সরু। পত্রহীন হলেও শাখা-প্রশাখা অসংখ্য। সাধারণত ছোট ও মাঝারি উচ্চতার গাছ বা বেড়ার গাছে জোঁকের মতো জড়িয়ে থাকে। এভাবে আশ্রয়দাতা গাছের কাণ্ডে নিজের মূল কাণ্ড গেঁথে তার সাহায্যে খাদ্য সংগ্রহ করে। তার পর নিজের শাখা-প্রশাখায় জড়িয়ে নেয় গাছটিকে। একসময় মূল কাণ্ড খুঁজে পাওয়া যায় না।
বসন্ত-গ্রীষ্মে পত্রহীন লতায় ছোট মঞ্জরিদণ্ডে সাদা রঙের ফুল ফোটে। দেখতে অনেকটা ছোট বাতির মতো, মাথায় পাঁচ পাপড়ি, পরাগকেশর অনেকটাই অদৃশ্য। বোঁটা বেশ ছোট এবং গুচ্ছবদ্ধ। ফল পাকে বসন্তের শেষে বা বর্ষায়। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র সহজলভ্য। এখানে চার প্রজাতির লতা দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এই গণে হলুদ, কমলা ও লাল রঙের ১০০ থেকে ১৭০ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। গাছের বীজ ও কাণ্ড ঔষধি গুণে ভরা। লতার স্বাদ তেতো, কচলালে আঠালো ধরনের হয়। মোটা লতা পিত্তজনিত রোগে, সরু লতা দূষিত ক্ষতে, বীজ কৃমি ও পেটের বায়ুনাশে খাওয়ানো হয়।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম