কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চন্দ্রমলি্লকা বাংলাদেশে উৎপাদিত অতিপরিচিত শীতকালীন ফুল। আদিনিবাস চীন, জাপান হলেও বাংলাদেশে এ ফুলের জনপ্রিয়তা রয়েছে বেশ। কোথাও কোথাও এ ফুলকে চন্দ্রমুখী নামেও ডাকে। পরিবার- Compositae, ইংরেজি নাম- Chrysanthemum, উদ্ভিদতাত্তি্বক নাম- Chrysanthemum indicum। চন্দ্রমলি্লকা জাপানের জাতীয় ফুল।
বিশ্বনন্দিত এ ফুলের রয়েছে বাহারি রং ও প্রজাতি। এর মধ্যে সাদা, লাল, বেগুনি, নীল ও হালকা সবুজ রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। নমনীয় কোমল অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট চন্দ্রমলি্লকা ফুলের। গাছের উচ্চতা গড়ে ১ থেকে ২ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। অতি বৃষ্টি চন্দ্রমলি্লকার বৃদ্ধি ও উৎপাদনের জন্য সহায়ক নয়। তাই তুলনামূলক ঠা-া আবহাওয়া ও শুষ্ক স্থান চন্দ্রমলি্লকার জন্য ভালো।
রৌদ্রোজ্জ্বল সু-নিষ্কাশিত জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দোঅাঁশ থেকে দোআঁশ মাটিতে চন্দ্রমলি্লকা ভালো উৎপাদিত হয়। গাছে ফুটন্ত ফুল দীর্ঘদিন সতেজ থাকে এবং ফুলদানিতেও টিকে থাকে বেশ অনেক দিন। বীজ ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়। তবে ফুলের ভালো উৎপাদনের জন্য ডাল কাটিং সবচেয়ে উপযোগী। বীজ থেকে তৈরি চারা থেকে ফুল পেতে সময় বেশি লাগে। কাটিং রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর গাছে ফুল ফোটে। কাটিং থেকে চারা উৎপাদনের উৎকৃষ্ট সময় সেপ্টেম্বর মাস থেকে অক্টোবর মাস।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম