কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরগুনা জেলার বিষখালী নদীর ভাঙনে লঞ্চঘাট ও কলাগাছিয়া গ্রাম বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। লঞ্চঘাটে পন্টুন স্থাপন করা যাচ্ছে না ভাঙনের কারণে। কলাগাছিয়া ও লঞ্চঘাট এলাকায় শতশত পরিবার ভাঙলের কবলে পড়ে সব হারিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার বস্তিতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। উপজেলার খন্দকার বাড়ির সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত নদী ভাঙন বিস্তৃত হচ্ছে।
এদিকে কাটাখালী, পুরাতন বামনা ও বেবাজিয়াখালী গ্রামকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ব্লক ফেলছে। কলাগাছিয়া গ্রামের মাসুক মিয়া বলেন যে, কাটাখালী, পুরাতন বামনা ও বেবাজিয়াখালী এলাকায় ব্লক ফেলানো হচ্ছে বিধায় নদীর সে্রাত এখন কলাগাছিয়া গ্রামকে আক্রমণ করছে।
ফলে কলাগাছিয়া গ্রামটি ভাঙনকবলিত হচ্ছে। যদি লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণে খাদ্য গুদাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ব্লক ফেলানো হয় তাহলে বামনা লঞ্চঘাট, কলাগাছিয়া গ্রাম ও বামনার ঐতিহ্যবাহী খন্দকার বাড়ি, মিয়া বাড়ি, মহিলা কলেজ, রশীদ ফাযিল মাদরাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউআরসি ভবন, খাদ্য গুদাম ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন যে, লঞ্চঘাট থেকে উত্তরে দুই কি.মি. ব্লক ফেলানো হচ্ছে। সেহেতু লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণে যদি দুই কি.মি. ব্লক ফেলানো হয় তাহলে বামনার অনেক প্রতিষ্ঠানসহ দুইটি গ্রাম ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে এবং পানির স্রোত মাঝখান দিয়ে রুহিতা চরের পাশ দিয়ে বয়ে যাবে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান,‘বামনা লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণে দুই কি.মি. ব্লক ফেলানো একান্ত জরুরি। আমরা বিষয়টি অনুভব করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম