কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্টঃ রাজশাহীর এগ্রোব্যাক বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা বানিজ্যিকভাবে টিস্যুকালচারের মাধ্যমে জারবেরা ফুলের চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। জারবেরা ফুলের চারা বিদেশ হতে আমদানী করা হয় । এগ্রোব্যাকের এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা এবং টিস্যুকালচারের মাধ্যমে চারা উৎপাদন সম্প্রসারণে আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসে USAID (USAID-AVC Projec)।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালি এবং ঝিনাইদহ জেলা হতে একদল কৃষক,সংগঠক এবং ফুল ব্যবসায়ী উন্নত প্রযুক্তির টিস্যুকালচারের বিভিন্ন প্রযুক্তিসহ ফুল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ বিষয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এগ্রোব্যাক এর পরিচালক বিজ্ঞানী ও গবেষক মতিউর রহমান।আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুর রহিম, বাংলাদেশের ফুলচাষ জগতের অন্যতম পূরধা জনাব শের আলী, ঝিনাইদহ কোলা ফুলচাষী সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ফুলচাষী রাজু, নাসরিন জাহান আশা, হ্যাপী, রফিকসহ আরো অনেকে।
এগ্রোব্যাকের অন্যতম কর্নধার মো: মফিজুল ইসলাম মোহন বলেন, আমরা খুবই অভিভূত এবং আনন্দিত । সবার মাঝে যে সাড়া পেয়েছি তাতে এ কার্যক্রমকে অনেকদুরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো বলে আমাদের বিশ্বাস। এগ্রোব্যাক বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে জারবেরা, ইউস্তোমা , ক্যালাঞ্চো, চন্দ্রমল্লিকা , স্ট্রবেরী , পটেটো , ড্রাগন ফ্রুট পাউলোনিয়া, আলফা আলফা (ডায়বেটিক ট্রি) পটল,
এগ্রোব্যাকের পরিচালক বিজ্ঞানী ও গবেষক মতিউর রহমান জানান টিস্যুকালচারে তাদের গবেষনা পর্যায়ে রয়েছে লিলিয়াম, পান , কারনেশান , টিউলিপ সামাজকি দায়বদ্ধতা ও কৃষকরে কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে মফজিুল ইসলাম এবং মো: মতউির রহমান এর যৌথ উদ্যোগে প্রতষ্ঠিতি এবং পরচিালতি প্রযুক্তি নর্ভির উন্নত এবং আধুনকি একটি কৃষি উদ্যোগ
জানা যায় বাংলাদেশে সরকারী বেসরকারীভাবে প্রায় ৩৭টির মতো টিস্যু কালচার ল্যাব থাকলেও কোনো ল্যাব ফুলের উপর ততটা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে না। বেশীরভাগ ল্যাবই আলু নিয়ে কাজ করে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০টি ল্যাব বন্ধ হয়ে গেছে। ফুল চাষীরা ফুলের চারা বিশেষকরে জারবেরা, লিলিয়াম, চন্দ্রমল্লিকা, ইত্যাদি ভারত থেকে চোরাই আমদানী করে। এতে করে তাদের ৩-৬ মাস সময় লাগে এবং প্রচুর টাকা খরচ হয়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুর রহিম ও বাংলাদেশে ফুলচাষের জনক জনাব শের আলী এগ্রোব্যাক টিস্যু কালচার ল্যাব ও প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করে বলেন, আর আমাদেরকে বেশী টাকা ও সময় নষ্ট করে বিদেশ গিয়ে ফুলের চারা আনতে হবে না। আমাদের দেশেই এগ্রোব্যাক টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফুলের চারা উৎপাদন করছে। এখন থেকে হাতের নাগালে ভালো ও গুনগত মানসম্পন্ন চারা পাওয়া যাবে।
এগ্রোব্যাক এর পরিচালক বিজ্ঞানী ও গবেষক মতিউর রহমান বলেন, কৃষকের কল্যানের জন্য কৃষকের পাশে থেকে কৃষকদের সাথে নিয়ে এগ্রোব্যাক ২০২০ সালের মধ্যে প্লান্ট টিস্যু কালচার ইন্ডাষ্ট্রি গঠন করবে এবং সকল ফুলের চারা তৈরী করে কৃষকের চাহিদা পুরণ করবে। বিদেশে তো যেতে হবেই না বরং বিদেশে অনুচারা রপ্তানী করা হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম