কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে মাষকলাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কৃষকদের মধ্যে উচ্চফলনশীল বারি-৩ জাতের মাষকলাইয়ের বীজ ও সার সরবরাহ করায় নাগরপুর উপজেলায় মাষকলাই উৎপাদনে এ বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার অধিকাংশ জমি যমুনা ও ধলেশ্বরীর চরাঞ্চলের হওয়ায় এখানে সব সময়ই মাষকলাইয়ের চাষ বেশি হতো। আগে এখানকার কৃষকরা দেশি বা স্থানীয় জাতের মাষকলাই চাষ করতেন। এ জাতের মাষকলাইয়ে ভাইরাসজনিত রোগের কারণে ফলন অনেকটাই কম হতো। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন কৃষকরা। এ কারণে মাষকলাইয়ের চাষ কমতে থাকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মধ্যে উচ্চফলনশীল বারি-৩ জাতের মাষকলাইয়ের বীজ ও সার সরবরাহ করে।
বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে কৃষকরা আবারও মাষকলাই চাষে ফিরে আসেন। নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে নাগরপুর উপজেলায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মাষকলাইয়ের চাষ হয়েছে। দেশি জাতের চেয়ে বারি-৩ জাতের মাষকলাইয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ফলন হয়েছে। গাছে রোগ-বালাইও তেমন হয়নি। এ কারণে খুশি কৃষকরা। তারা আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে বারি-৩ জাতের মাষকলাই চাষের কথা ভাবছেন। ঢাকা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল আজিজ জানান, বাম্পার ফলন দেখে এ জাতের মাষকলাই আগামীতে সারা জেলার কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে। একইসঙ্গে কৃষকদেরও প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতাও করার আশ্বাস দেন তিনি।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/ এম ইসলাম