কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টিস্যু-কালচার ভিত্তিক আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকরা নেট হাউস পদ্ধতিতে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ পদ্ধতিতে আলু ভালো উৎপাদন হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য হারে এই আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। পবা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আবু হেনা মোস্তফা কামাল চার হাজার অনু চারা প্লান্টলেট এবং ঘীপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজ দুই হাজার অনুচারা রোপণ করেছেন। তারা এখন এসব ক্রমবর্ধমান চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া মোহনপুর উপজেলার খানপুরের নুর আলম ও পারজুনপাড়ার মাসুম এবং বাগমারা উপজেলার জামালপুর গ্রামের আলী আফজাল বলেন, বর্তমান চাষ পদ্ধতিতে আলু চাষে তারা খুব খুশী।
বীজ আলু চাষী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, গত বছর নেট হাউস চাষ পদ্ধতিতে পাঁচশ’ চাষী আলু চাষে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলের সর্বত্র টিসু কালচার প্রযুক্তি ব্যবহারে নেট হাউস পদ্ধতি অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ স্থানীয় জাতের আলু বীজের পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর আলুবীজ উৎপাদনে অধিক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া আলু চাষীরা ভাল ফলন পেতে উন্নতমানের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে আলু চাষে আগ্রহী। তিনি বলেন, শতভাগ ভাইরাস ও রোগমুক্ত, স্বাস্থ্যকর, উন্নতমানের ও পরিবেশ বান্ধব এই বীজ তুলনামূলক অধিক ফলনশীল ও স্বাস্থ্যকর।
কুষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, এই অঞ্চলে টিস্যু কালচার অনুচারার চাহিদা ব্যাপক। এছাড়া এই অঞ্চলের বহু শিক্ষিত যুবক ও ব্যবসায়ী টিস্যু কালচার প্রযুক্তি নির্ভর চারা ব্যবহার ও ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। টিস্যু কালচার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পুরোধা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, তারা ১৯৮৭ সালে টিস্যু কালচার প্রযুক্তিতে আলু বীজ উৎপাদন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন।এরপর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে আলু বীজ উৎপাদনে প্রযুক্তির প্রসার ঘটছে। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে আলু উৎপাদনের ফলে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে ২০টি টিস্যু-কালচার ল্যাবরেটরিজ বাণিজ্যিকভাবে কাজ করছে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম