কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পশ্চিম সুন্দরবন এলাকায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে চলছে কাঁকড়া শিকার। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সরকার এই সময় কাঁকড়া শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে শিকারিরা মেতে ওঠেছে কাঁকড়া শিকারে। এতে বিপন্ন হতে পারে রপ্তানি পণ্য কাঁকড়া।
কাঁকড়ার প্রধান প্রজনন ক্ষেত্র সুন্দরবন। এখান থেকে আহরিত কাঁকড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানিযোগ্য এসব কাঁকড়ার প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্দরবনসহ সংলগ্ন সব নদীতে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ করে। এর মধ্যেই গত এক সপ্তাহে বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশন অফিস থেকে আড়াই শতাধিক জেলেকে মাছ ধরার পাস দেয়। তার মধ্যে কবাদক স্টেশন থেকে ৩০, কদমতলা ১০০, কৈখালী ৮০ ও বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিস হতে ৭৭টি মাছ ধরা নৌকার পাস দেয়া হয়। পাসধারী অধিকাংশ জেলেই কৌশলে অভয়ারণ্য এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁকড়া ধরার উপকরণ দোন, জালতি, আটল, কুঁচেমাছ সঙ্গে নিয়ে বনে ঢুকছে।
স্থানীয় জেলে আইয়ুব আলী জানান, প্রতিদিন বুড়িগোয়ালিনী খেয়াঘাট নওয়াবেঁকী বাজার, মুন্সীগঞ্জ বাজার, ভেটখালি ও হরিনগর বাজারে কাঁকড়া ডিপোতে প্রকাশ্যে মা কাঁকড়া বিক্রয় করছে জেলে ও ফড়িয়ারা। বুড়িগোয়ালিনী, কদমতলা ও কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন, শ্যামা প্রসাদ রায় ও নজরুল ইসলাম জানান, জেলেরা মাছের পাস নিয়ে ভেতরে যেয়ে মাছ ধরছে না কাঁকড়া ধরছে তারা তা জানেন না।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাতক্ষীরা সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ মাকছুদ আলম বলেন, বিশাল এলাকাজুড়ে সুষ্ঠুভাবে পাহারা দেয়া দুরূহ। তবে প্রজনন মওসুমে কাঁকড়া আহরণ বন্ধে টহল জোরদার করা হয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রজনন মওসুমে কাঁকড়া ধরা যদি বন্ধ না হয় তাহলে আগামী মৌসুমে কাঁকড়া আহরণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাঁকড়ার উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম