কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে শেরপুরের মানুষের মধ্যে। শেরপুর সদর উপজেলায় এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মাছের খামার। এতে শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের জন্য সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। ব্যবসায়ীরাও বেশি আয়ের লক্ষ্যে মাছ চাষে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। অনেক ব্যবসায়ী নিজ জমিতে মাছের খামার করছেন। আবার অনেকে সরকারি খাসজমি বিভিন্ন মেয়াদে ইজারা নিয়ে শুরু করেছেন মাছ চাষ। বর্তমানে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শেরপুর থেকে মাছ সরবরাহ হচ্ছে বলে শেরপুরের মত্স্য অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনেকে অন্য ব্যবসায় সুবিধা করতে না পারলেও মাছের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে মত্স্যচাষীদের স্বল্প সুধে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে মাছ চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মাছ চাষ করে সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন সাদুজ্জামান সাদী। শেরপুর ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারীতে সাদাত এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদ্দী উত্তরপাড়ায় সোয়াদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ একর জমিতে গড়ে তুলেছেন খামার। এখানে চাষ হয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তিনি বলেন, এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের।
মা এগ্রো ফিশারির মালিক খলিল মোল্লা গলদা চিংড়ি, রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুঁটি, পাঙ্গাশ, কই চাষ করে লাভবান হয়েছেন। শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক কমিশনার আলাল উদ্দীন আলীনাপাড়া গ্রামে বৃহত্ পরিসরে মত্স্য চাষ প্রকল্প স্থাপন করেছেন। উপজেলা মত্স্য অফিসের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলায় গত অর্থবছর মাছ উত্পাদন হয় ৫ হাজার ৯৭ টন। এ সময় ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ১২৪ টন। এখন শেরপুর জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে প্রায় এক হাজার টন মাছ। শেরপুর সদর উপজেলায় প্রায় ৬৫টি মত্স্য খামার রয়েছে। সব মিলিয়ে এর আয়তন ৯৫ হেক্টরের মতো। এছাড়া প্রায় ৬ হাজার ৫৪ পুকুরের ৭৫৭ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়। খাল, বিল, নদী, প্লাবন ভূমি মিলিয়ে আরো প্রায় ৮০০ হেক্টর জমি মাছ চাষে ব্যবহার হয়।
কৃপ্র/ এম ইসলাম