কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এক মুখ হাসি নিয়ে কুড়িগ্রামের স্থানীয় চাষী রফিকুল ইসলাম বললেন, ‘বাহে মোর জমিত মরিচ মেলা ধরছে এবার মরিচ বেচেয়া ভাল লাভ করছোং’। মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় এমন হাসি তিস্তার চরাঞ্চলের চাষীদের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় একই জমিতে মরিচের পাশাপাশি মিষ্টিু কুমড়া চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন অনেক চাষীরা। রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার ষষ্ঠি চন্দ্র রায় জানান চলতি মৌসুমে উপজেলার তিস্তার চরে ২শ ৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এরমধ্যে ৪শ ৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ১হাজার মেট্রিক টন কিন্তু প্রতি হেক্টরে প্রায় ২ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। চরাঞ্চলে দেশীয় হাইব্রিড জাতের মরিচ আবাদে কৃষকরা লাভবান হয়েছে। বন্যার ক্ষতি কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে তাদের। সরেজমিনে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তার চরে গিয়ে দেখা যায় লোক জন জমি থেকে মরিচ তুলছে। চাষী রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী, বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচের ভাল ফলন হয়েছে। তিনবার একই জমিতে মরিচ সংগ্রহ করা যায়। দাম কিছুটা কম হলেও ফলন ভাল হওয়ায় লাভ পাচ্ছেন তারা।
খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হবে তাদের। এছাড়াও একই জমিতে অন্য ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার তিস্তার চরের মরিচ। পরবর্তী আগাম মরিচ চাষ এবং পরিচর্চার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এসব কৃষকদের। প্রতিনিয়ত তদারকি এবং সঠিক সময়ে পরিমাণ মত সার ঔষধ প্রয়োগ করায় ভাল উৎপাদন হয়েছে বলে মনে করছে কৃষি অফিস। এখন মরিচ সংগ্রহ ও বিক্রির সময় তাই পরিবারের ছোট বড় সকলেই মিলে কাজ করছে মরিচ ক্ষেতে। ব্যস্ত সময় পার করছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/এম ইসলাম