কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান বলেছেন, বালুচর এখন আর আবহেলিত নয়। চরে সাধারণ জমির মতই বিভিন্ন ফসল ফলানো সম্ভব। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তরাঞ্চলে তিস্তা ব্যারেজ থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ চরকে অবহেলিত না রেখে উৎপাদনশীল করা জন্য আহ্বান জানান। তিনি রংপুর অঞ্চলে কৃষি বিভাগের মাঠ কার্যক্রম পরিদর্শন উপলক্ষে মাঠ সফরের প্রথমদিন আজ শনিবার রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
সেখানে তিনি তিস্তার চরে ’ইনোভেটিভ স্যান্ডবার ক্রপিং সিষ্টেম’ শীর্ষক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এসময় চরে মিষ্টি কুমড়া, স্কোয়াস, গম, ভুট্টা, বাদাম, সরিষা, বিভিন্ন ধরণের উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম, রংপুর জেলার উপ-পরিচালক স ম আশরাফ আলী, কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুরের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার মো. আবু সায়েম, কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শামীমুর রহমান প্রমুখ।
বিকেলে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় তিনি আউশ প্রণোদনা সফলভাবে মাঠে বাস্তবায়নের ওপর নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া তিনি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং গম আবাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। আজ রোববার তিনি বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে মৌচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি মিঠাপুকুর উপজেলায় পায়রাবন্দে প্রযুক্তি গ্রাম, ভার্মি কম্পোষ্ট, রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী, গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস এর আওতায় প্রদর্শনী এবং কৃষক সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম