কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর, কৃষি ও মৎস্য আহরণই এ উপজেলার মানুষের প্রধান পেশা ও আয়ের উৎস।চিরিরবন্দর উপজেলায় বহমান ইছামতি, আত্রাই ও বেলান নদী । চিরিরবন্দর উপজেলায় এখন ব্যাপক হারে প্রসারন হচ্ছে সাথী ফসল । বর্তমানে সাথী ফসলসহ দুই বা তারও বেশি ধরনের ফসল চাষ করা হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা আগে ফসলি জমিতে শুধু ধান চাষ করলেও এখন সাথী ফসল চাষাবাদ করছেন। সাথী ফসল চাষ করে কৃষকরা সাফলতা পেয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে একই সঙ্গে কয়েক ধরনের ফসল চাষ ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষি খাতকে উন্নয়নমুখি ও লাভজনক করতে চিরিরবন্দরে ফসলি জমিগুলোকে দুই ফসলি করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে উপজেলায় অনেক জমিতে এখন সাথী ফসল চাষ করছেন কৃষকরা। চিরিরবন্দর উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানালেন, তারা বছর সাথী ফসল হিসেবে আলুর সঙ্গে ভুট্টা চাষ করেছেন। আলু তোলা শেষ। এখন চলছে ভুট্টার পরিচর্যা। এ বছর তারা জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন।
কৃষকরা আলুর সঙ্গে ধনিয়া, লাল শাক ও মরিচ চাষ করেছেন। এসব সবজির পাশাপাশি একই জমিতে চাষ করেছেন পুঁইসহ দুই ধরনের শাক। পর পর একাধিক ফসল চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। তারা জানায়, ধনিয়া, লাল শাক, আলুর শাক, ক্ষীরা, পুঁই শাক, মরিচ ও আলুর সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রোহিনী কান্ত রায় জানান, এই ইউনিয়নের কৃষকরা সাথী ফসল চাষ অধিক হারে প্রসারন শুরু করেছেন। এ ইউনিয়নে প্রায় বেশী ভাগ জমিতে ব্যাপক হারে সাথী ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে । এ ফসল চাষাবাদ করার জন্য জৈব সারই বেশি ব্যবহৃত হয়। এ কারণে বীজ কেনা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। তবে আলু ও ক্ষীরা চাষে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। উপজেলায় কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, চিরিরবন্দরে ফসলি জমিগুলোকে দুই ফসলি করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম