কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সবজি উৎপাদনে খ্যাত মেহেরপুর জেলায় এখন ফুল চাষ হচ্ছে। ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় মেহেরপুরের বেকার যুবকেরা ফুল চাষে ঝুঁকছে। বছর তিনেক আগেও এই জেলায় শুধুমাত্র বসত বাড়ির আঙিনায় কিংবা টবে ফুলের গাছ লাগাতো বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। সেই মেহেরপুরে এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাঁদা ফুলের চাষ বাড়ছে। ফুল চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে কেউ কেউ আয়ের উৎস হিসেবে ও দেখছেন। শুধু গাঁদাফুল, রজনীগন্ধা, গ্লাডিউলাস, গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের চাষ বাড়ছে। তবে গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হচ্ছে। লাভজনক হওয়াতে প্রতিবছর সম্প্রসারিত হচ্ছে ফুলচাষ। সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নে বেশি চাষ হচ্ছে এই ফুল চাষ।
গাঁদা ফুলের চাহিদা ও দাম থাকার কারণে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে শুরু হয়েছে গাঁদাফুল চাষ। গত পাঁচবছর আগেও মেহেরপুরে ফুলচাষের কথা ভাবতে পারেনি কৃষকরা। জেলায় এখন ৬ হেক্টর জমিতে গাঁদাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলচাষ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে। চাষিদের মতে, অন্যান্য ফসলের চেয়ে গাঁদাফুল চাষে লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই শুধুমাত্র শীতকালেই নয়, গোটা বছর ধরেই এই ফুলের চাষ করা হয়। এই ধারণাকে সামনে রেখেই অনেকে ফুলের চাষ করছেন।
সদর উপজেলার রুদ্রনগর গ্রামের গাঁদাফুল চাষি ফজলুল হক জানান- গত বছর তিনি একবিঘা জমিতে চাষ করেন গাঁদাফুলের। লাভজনক হওয়ার কারণে এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে গাঁদাফুলের চাষ করেছেন। জেলার ফুল চাষিরা জানান, তাঁদের চাষ করা ফুল একদিকে যেমন স্থানীয় খোলা বাজারে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে, তেমনই জেলা ছাড়িয়ে অন্যজেলার চাহিদা পূরণেও ভূমিকা রাখছে। গাঁদা ফুলের এই চাষকে আগামীদিনে কিভাবে আরও বাড়ানো যায় এখন সে চেষ্টাই করছেন চাষিরা।
মেহেরপুর শহরের স্বর্ণালী গিফট কর্নার এন্ড ফুল ভান্ডারের ফুল ব্যবসায়ী রাশেদুজ্জামান বলেন-আগে যশোর থেকে ফুল কিনে বিক্রি করতাম। এত পরিবহন খরচ এবং অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এবার মেহেরপুরে ফুল চাষ হওয়ায় পরিবহন খরচ কমেছে। সেই সাথে ফুল নষ্ট হয় কম। আগের বাজার দরের চেয়ে কম দামে ক্রেতাদের টাটকা ফুল দিতে পারছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান- বর্তমানে মেহেরপুর জেলাতে ৬ হেক্টর জমিতে ফুলচাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ার কারণে এই ফুলচাষ প্রতিবছরই সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম