কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : নওগায় বাণিজ্যিকভাবে বাঁশ ও বেত চাষ প্রকল্প এগিয়ে চলছে। নওগাঁর ধামুরহাটের আলতা দিঘী জাতীয় উদ্যানে বিলুপ্ত প্রজাতির গাছ রক্ষায় নেওয়া প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে । ফলে সরকারের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছে স্থানীয় জনগণ। কুটির শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন, নগরায়ন, বৃক্ষনিধনসহ নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত গাছ। এদের বিভিন্ন প্রজাতি রক্ষায় আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগের জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে বেত ও বাঁশঝাড়।
বনবিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বাঁশের বিলুপ্ত প্রজাতি গুলো ফিরে এসছে। এক থেকে দেড় বছরের বাঁশের কঞ্চি হেঞ্চাব্লেড দিয়ে কেটে একটা বালতিতে চুবিয়ে রাখা হয়। এরপর বালুর বেডে গোড়ালিসহ পুঁতে দিতে হয়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাঁশের শিকড় গজিয়ে যায়।আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের নার্সারিতেই উৎপাদন করা হচ্ছে বাঁশ ও বেতের চারা। বনের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রি করা হচ্ছে এসব চারা গাছ। বিলুপ্ত প্রজাতির গাছ রক্ষার বিশেষ এই প্রকল্পের যুক্ত করা হয়েছে স্থানীয়দের। গত চার বছর ধরে এই বাঁশ বাগানটি পরিচর্যা করছেন কর্তৃপক্ষ।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম