কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে গাছে গাছে এখন আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ, যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিত করে। শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে- এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন টাঙ্গাইলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি গাছেই মুকুল ধরেছে। জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১৫-১৬ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। উৎপাদন হয় ৫৩ হাজার ৭১৭ মে.টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। টাঙ্গাইলে আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বাড়ি ১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয়ে থাকে।
জেলার বাসাইলের আম চাষী শিমুল জানান, এ বছর আমার আম গাছে প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল ধরেছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোন রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি প্রতিটি আম গাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে। মির্জাপুরের আম চাষী মোহাম্মদ নাসিমও এমন ধরনের কথা বলেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম জানান, জেলায় এ বছর আমের উৎপাদন ভালো হবে। কারণ এ বছর আমের মুকুল ধরার সময় প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ হয়নি। এমনকি তেমন কোন রোগবালাইও হয়নি। যদি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে তিনি মনে করেন
তিনি আরো জানান, আম চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তাই অনেক বেকার যুবক এ পেশায় এগিয়ে আসছেন। টাঙ্গাইলে পাহাড়ি ও আবাদি জমিতে আমের চাষ করা হয়ে থাকে। টাঙ্গাইলে হর্টিকালচারে আমের চারা উৎপাদন করা হয়। আমরা চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছি। এমনকি কৃষকদের ট্রেনিংও দেয়া হয়েছে। আমাদের অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম