কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রতিটি গ্রামে চলতি মৌসুমে গাছ জুড়ে শোভা পাচ্ছে কাঠালের মুচি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় নিদিষ্ট পরিমিত আবহাওয়া থাকায় এ বছর প্রতিটি গাছে অতুলনীয় কাঠালের মুচি ধরেছে। তবে দেশের অনান্য জেলার মতো গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে কাঠালের বাগান না করলে ও নিজস্ব ভিটি বাড়ীতে কাঠালের চাষ করেছে আবার কেউ বা করেছে বাড়ির আঙ্গিনার চারপাশ দিয়ে। যা মালিকের একটি বাড়তি আয়ের উৎস।
পলাশবাড়ীর স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর কাঠালের মুচির সংখ্যা বেশি, বড় গাছে ৮০-১০০টি এবং ছোট গাছে ৪০-৫০ টি করে রয়েছে। যদি পরিমিত জলবায়ু ঠিক থাকে তাহলে এ বছর গাছে প্রায় শতাধিক কাঠাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সরেজমিনে ঘুরে আরো কিছু কাঠাল গাছ চোখে পড়ে, যা নিদিষ্ট মৌসুমের আগেই কাঠালের মুচি ধরেছে এবং পর্যাপ্ত পরিমানে বড় হয়েছে। সধারনত দেশীও কাঠাল পাক ধরার আগেই এ কাঠাল পাকে যা বাজারে অধিক দামে বৈশাখী কাঠাল হিসেবে বিক্রয় হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলঅম জানান, উপজেলা জুড়েই আম্রকাননে প্রতিটি আম গাছেই ব্যাপকহারে মুচি দরেছে। গতবছরের তুলনায় এবছর আশানুরুপ ফলন আশা করছি। তবে বৃষ্টি না হলে আমের মুচি ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম