কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের গ্রাম সুতারকান্দি। এখানে প্রায় ৫০ একর জমিতে বাঙ্গি বা ফুট আবাদ হচ্ছে। এ আবাদ থেকে চাষিরা তাদের অভাব-অনটন দূর করে দ্রুতই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। চাষিরা জানান, এখানে প্রতি বিঘা জমিতে তাদের খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।
ভালো ফলনের জন্য জমিতে নিয়মিত পানি, ডিআইবি সার, টিএসপি ও পটাস সার এবং পোকা-মাকর মারার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। চাষিরা কার্তিক মাস থেকে ফুট বীজ রোপণ শুরু করেন। ফল ধরতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। ফাল্গুনের শুরুতে ফুট তোলা শুরু হয়। আবাদিরা আরও জানান, জমি থেকে ফলন তোলার পর তারা তা খুচরা বা পাইকারি দরে বিক্রি করেন।
বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা ফুট (বাঙ্গি) কিনতে আসেন। ক্রেতাদের অনেকে এগুলো রাজৈর, টেকেরহাট, জলিরপাড়, বানিয়ারচর, বনগ্রাম, বাটিকামারী, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গা ও মাদারীপুর জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। কৃষক নুর ইসলাম খালাসি জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে সারাদিন গাড়ি থামিয়ে চালক ও যাত্রীরা ফুট কিনে নিয়ে যায়। এই আবাদের আগে এখানকার মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন ফুট চাষ করে সবারই অভাব দূর হয়েছে। বাড়িতে পাকা ঘর হয়েছে। এক কথায় এই আবাদ থেকে এ অঞ্চলের মানুষ নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাঙ্গি চাষ করে কৃষকরা ভালো রকম লাভবান হচ্ছেন।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন/কৃপ্র/এম ইসলাম