কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অর্থকরী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বরেন্দ্র এলাকাসহ রাজশাহী অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ বীজের চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় কৃষিবীদ, চাষিসহ সকলেই এবারের মৌসুমে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলনের আশা করছে। আসন্ন মৌসুমে বিঘা প্রতি এক থেকে দুই মণ বীজ উৎপাদন করা হবে বলে তারা আশা করা করছেন। গত মৌসুমে কেজি প্রতি পেঁয়জের বীজ ৬ শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গোদাগাড়ি উপজেলার প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে এবং বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
গত ১০ বছরে উপজেলার সাড়ে ৩শ জনের বেশি চাষি পেঁয়াজ বীজ চাষ করে সাবলম্বী হয়েছে এবং আরো অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। বাসুদেবপুর গ্রামের আকবর হোসেন বাসসকে জানান, গত বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করে ৪০ হাজার টাকার মত লাভ করেছেন। এ বছর তিনি সাত বিঘায় পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছেন এবং বিঘা প্রতি ১৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরিজপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহাব উদ্দিনও পেঁয়াজ বীজ চাষ শুরু করেছেন। গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বীজ চাষ করে তিনি প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ করেছেন বলে জানান। অর্থকরী হওয়ায়তাই এ বছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে বীজ চাষ করেছেন। আরো বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষের লক্ষ্যে সম্প্রতি চাষিদের বিভিন্ন ব্যক্তি, বেসরকারী ব্যাংক এবং বিশেষ করে রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)-র ঋণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করতে দেখা যায় বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই)-র উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি জানান, এবারের মৌসুমে মোট ১৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বীজ চাষের লক্ষ্যে জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে বীজ চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হেক্টর প্রতি সাড়ে ৩ শ কেজি বীজ চাষ করা হয়েছে। ফলে এই মৌসুমে প্রায় ২ হাজার চাষি লাভবান হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, জেলার প্রায় ৭ হাজার ৩ শ ৭৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে এবং এর মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চ ফলনশী তাহেরপুরি জাতের। এবারের মৌসুমে এই অঞ্চলের আটটি জেলায় সাড়ে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে কৃষিবীদ, চাষিসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই আশা করছেন।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম