কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কৃষি বিশেষজ্ঞগণ এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বলেছেন, দিন দিন কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা কমতে থাকায় কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই। তাই কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে কৃষক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দিন দিন ফসলের নিবিড়তা বাড়ছে। এতে জমি খালি ফেলে রাখার সুযোগ নেই। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করছে।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্র প্রশিক্ষায়তনে সিমিট দিনাজপুর হাব-এর আয়োজনে ও কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুর অঞ্চলের সহযোগিতায় দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলার আটটি উপজেলার কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) এর উদ্যোক্তাদের বীজ বপন ও ফসল কর্তন যন্ত্রপাতির বাণিজ্যিক ব্যবহার এবং সম্প্রসারণ বিষয়ক এক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে কৃষি বিশেষজ্ঞরা একথা বলেন।
প্রশিক্ষণে সিমিট দিনাজপুর হাবের কোঅর্ডিনেটর মো. আনারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. গোলাম মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম।প্রশিক্ষণে সরাসরি ধান, গম, সরিষা বপন যন্ত্র, পাওয়ার টিলার চালিত সিডার, ধান ও গম কর্তন যন্ত্র (রিপার) এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির ব্যবহার বিধি ও পরিচালনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সিমিট দিনাজপুর হাবের কোঅর্ডিনেটর মো. আনারুল হক বলেন, বাণিজ্যিকভাবে কৃষি চাষাবাদ করতে হলে জমি ফেলে রাখার সময় নেই। সেক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার সময় সাশ্রয়সহ ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
আবার ফসল লাগানো বা ফসল কর্তন মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আধুনিক এসব যন্ত্রপাতি উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেয়, সময় সাশ্রয় করে বা শ্রম ঘন্টা কমিয়ে দেয়, লাইনে বপন করে ও আন্তঃপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। সর্বোপরি ফলনও বৃদ্ধি পায়। কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে প্রাথমিক বিনিয়োগ একটু বেশি হলেও এক মৌসুমেই এর খরচ উঠে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন। আবার পাওয়ার টিলারের সাথে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি লাগিয়েও বহুমুখি ব্যবহার করা যায়।
প্রশিক্ষক হিসেবে সিমিট-দিনাজপুর হাবের কৃষি উন্নয়ন অফিসার কৃষিবিদ রিয়াজুল হক, মনি কৃষ্ণ অধিকারী, আইডিই-বাংলাদেশ দিনাজপুর হাবের অপারেশন এন্ড বিজনেস ম্যানেজার সুবোধ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিভিন্ন সেবা এবং কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি এআইসিসি’র উদ্যোক্তাদের মাঠ পর্যায়ে সিনেমা শো’র মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কৃষক বা কৃষক সংগঠনকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার কার্য পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনি পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কে এম মাউদুদুল ইসলাম।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/ এম ইসলাম