কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশী মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পাবনা জেলার বেড়া-সাঁথিয়া-সুজানগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সুতিখালী বিল নাব্যতা হারাতে হারাতে এখন মৃতপ্রায়। ফলে এর বেশিরভাগ অংশেই ধানসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা হয়। দখল-দূষণে এ বিল ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে। ফলে এ উপজেলাগুলোতে দেশী মাছের প্রজননসহ দেশী মাছের অন্যতম এ প্রাকৃতিক উৎস ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
বেড়া উপজেলার মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য মতে, সুতিখালী বিলের দৈর্ঘ্য ৩৮.৫ কিলোমিটার। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য থেকে জানা যায়, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের একটি ড্রেনেজ খাল সুতিখালী।
ইছামতি নদী থেকে প্রবাহিত পানি সুতিখালীতে পরে সেখান থেকে এটি যমুনার শাখা হুরাসাগরে গিয়ে পড়ে। এটি বিল হিসেবেই পরিচিত। খালটি প্রবাহিত হওয়ার পর থেকেই দেশী মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এখানে পুঁটি, চাপিলা, বাইন, মাগুর, টেংরা, কৈ, টাটকিনি, শোল, পাবদাসহ প্রায় সব রকম দেশী মাছ পাওয়া যেত। এ জলাশয়ের মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। এখনও বাজারে সুতিখালীর মাছের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু আয়তন কমে আসায় মাছের পরিমাণও কমে গেছে।
তাছাড়া অবৈধ ডিম ও পোনা মাছ মারার ফলে মাছের বংশ বিস্তারও মারাত্মক ব্যাহত হয়। বেড়া বাজারে বিশ বছর ধরে মাছ বিক্রি করা সুদাম হালদার বলেন, এখন সুতিখালীর মাছ না এলেও অনেকে সে নামেই মাছ বিক্রি করে। কারণ, সুতিখালীর মাছের কথা বললে তা তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, দূষণসহ নানা কারণে এ বিল এখন সঙ্কুচিত। এটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ / কৃপ্র/ এম ইসলাম