কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আমরুল শাক এর বৈজ্ঞানিক নাম- Oxalis corniculata, Oxalidaceae গোত্রভুক্ত উদ্ভিদ এর বেশকিছু প্রজাতি রয়েছে। গাছটি লতানো। গাছের পাতায় তিনটি পত্রক থাকে। প্রতিটি পত্রকের মাথায় একটি খাঁজ থাকে। ফলে পত্রকগুলোকে বিভাজিত মনে হয়। এর মুল কন্দাল। এই গাছ উচ্চতায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর ফুল সুষম এবং পাঁচটি পাঁপড়ি আছে। ফুলগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। এর ফলকোষ সরু ও লম্বা। প্রায় ১ সেন্টিমিটার পরিমিত লম্বা ফলকোষে অনেক বীজ থাকে। দক্ষিণ আমেরিকায় কিছু প্রজাতির আমরুল মূল খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। ঘরের শোভা বর্ধন,গৃহ ও আঙ্গিনার শোভাবর্ধনের জন্যও কোনো কোনো প্রজাতির আমরুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ভারতবর্ষে এই উদ্ভিদ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক মতে এই গাছের নির্যাস রক্ত-শোধনে সহায়তা করে। এছাড়া মুত্রাশয়ের রোগে ও ঠাণ্ডাজনীত রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই গাছের পাতা ব্যবহার করা হয়। বাংলদেশে আমরুল গাছের পাতা শাক হিসাবে খাওয়া হয়। ক্ষুধাবর্ধক হিসাবে,কবিরাজরা এই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া জ্বর উপশমে এই গাছের পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। ফোঁড়ার যন্ত্রণা, বিছার কামড়ের যন্ত্রণা লাঘবে এই গাছের পাতা বেঁটে ব্যবহার করা হয়।
কৃপ্র/ এম ইসলাম