কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলের কৃষকরা। তুলনামূলক কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় তারা ব্যাপক হারে এ জাতের বেগুন চাষ করছে। উপজেলায় ছয় থেকে সাত ধরনের হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লুনা, তারাপুরী বারি-২, কাজলা বারি-৪, নয়ন তারা ও বারি-৫ ও বিজয়। সব চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে হাইব্রিড লুনা ও কাজলা জাতের বেগুন।
কৃষকরা জানান, এই দুই জাতের বেগুন সারা বছর উৎপাদন করা যায়। এছাড়া গাছের সব শাখা প্রশাখায় বেগুন ধরে। চারা রোপনের দুই মাসের মধ্যে বেগুন উত্তোলন করা যায় এবং প্রচুর পরিমাণ ফলন দেয়। ঝলই শালশিড়ি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে তিনি চার বিঘায় হাইব্রিড লুনা ও কাজলা বারি জাতের বেগুন চাষ করেছেন। তিনি বলেন হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ খুব লাভ জনক। এটি দ্রুত বেড়ে উঠে ও অধিক ফলন হয়। তবে বেগুনটি চাষে খরচ একটু বেশি হয় বলেও তিনি জানান। বেংহারি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের চাষি বাবুল হোসেন জানান,তিনি তিন বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ করেছেন। উৎপাদন খরচ বাদে অন্তত ১ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২শ ১০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক জানান, হাইব্রিড জাতের চারা রোপনের সঙ্গে সঙ্গে সেচ,সার ও কীটনাশক অতি জরুরী। তিনি বলেন বেগুনের শত্রু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা। এসব দমন না করতে পারলে চাষির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক পরিচর্যা করার জন্য খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে।
সুত্রঃ বাসস / কৃপ্র/এম ইসলাম