কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পদ্মা ও যমুনা নদী ছাড়াও মানিকগঞ্জের বুক চিড়ে প্রবাহমান ছিল ইছামতী, কালীগঙ্গা, কান্তাবতী, মনলোকহানী, গাজীখালী, ক্ষীরাই, মন্দা, ভুবনেশ্বর ও ধলেশ্বরীর মতো নয়টি শাখা নদী। জেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত এসব নদী শুকিয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে জনজীবনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উজানে ভারতের পানি প্রত্যাহার, ড্রেজিং না করা ও দখলের কারণে এসব জলাশয়ের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক সময় যেখানে বছর জুড়ে পানি থাকতো। শুকনো মৌসুমে সেখানে এখন এক ফোঁটা পানিও মেলে না। নৌকার পরিবর্তে চলাচল করে ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। এ যেনো পানির দেশে- পানির জন্য হাহাকার। নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল মানিকগঞ্জের কৃষি, অর্থনীতি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতা । কিন্তু নদী কেন্দ্রিক সেই ঐতিহ্য, জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, সভ্যতা, কৃষি, অর্থনীতি ক্রমশই হয়ে আসছে সংকুচিত। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নদ নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সেই সঙ্গে পাল্টে যাবে নদীকেন্দ্রিক জীবন জীবিকা।
মানিকগঞ্জ সীমানায় এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে মানচিত্র থেকে। মানিকগঞ্জ জেলা ধলেশ্বরী-কালীগঙ্গা নদীর তীরে। করুণ ও রুগ্ন এ দুইটি নদী এখন মৃত প্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে ধলেশ্বরী আর কালীগঙ্গা নদী এখন কেবল কাগজ-কলমে রয়েছে; বাস্তবে এই নদীর চিত্র খুবই করুণ। মানিকগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মামুন উর রশিদ বলেন, মানিকগঞ্জে প্রবাহমান নদীগুলো মরে যাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি, কৃষি, মত্স্য, জীববৈচিত্র্যসহ সর্বত্র এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম