কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরে লিচু বাগানে মৌ মাছির বক্স বসিয়ে মধু আহরন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মৌ চাষিরা। এর ফলে একদিকে যেমন মৌ চাষিরা মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন অন্যদিকে মৌ মাছির মাধ্যমে মুকুলে মুকুলে পরাগায়ন ঘটায় লিচু গাছ মালিকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এক কথায় বাগানে মৌ চাষ করে চাষিরাও খুশি এবং মালিকরাও খুশি।
চিরিরবন্দরে র্য়েছে প্রায় ১১ শত লিচু বাগান। চলতি বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ৫ শত ১০হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে লিচুর বাগানগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে।
উপজেলার পুন্ট্রি ও ভিয়েল ইউনিয়নের সড়কের পাশ দিয়ে অবস্থিত লিচু বাগান গুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছে। মৌ চাষিরা বৈজ্ঞানিক উপায়ের উদ্ভাবিত মৌচাষ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন । তারা শতাধিক এর বেশি ব্রড ও নিউক্লিয়াস নামের ছোট বড় কাঠের বক্স স্থাপন করেছেন। প্রতিটি বক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছি ও অসংখ্য এপিচ মেইলিফ্রা জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা মৌ মৌ গন্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে যায় লিচুর মুকুলে।
১০/১৫ দিন অন্তর অন্তর প্রতিটি বক্স হতে চাষিরা ৫/৬ মণ মধু সংগ্রহ করছেন। যে লিচু গাছে মৌমাছির আগমন বেশি হয় সে গাছের মুকুলে পরাগায়ন ভাল হয়। ফলে ওই গাছে বা বাগানে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভবনা থাকে, তেমনি মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বানিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে। উপজেলার বিভিন্ন বাগান থেকে মৌ চাষীরা প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মণ মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করছেন। কাঠের তৈরী শত শত বিশেষ বাক্সের মাধ্যমে মৌ চাষ মধু সংগ্রহ করা দৃশ্য দেখে এলাকাবাসীও উদগ্রীব হয়ে ছুটে আসছেন মধু কেনার জন্য লিচু বাগানে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানায়, চলতি বছর প্রতিটি লিচু বাগানে ভালো মুকুল এসেছে। আর এ কারণে প্রচুর মৌ মাছির আগমন দেখা দিয়েছে। লিচু গাছ থেকে মৌ মাছি মধু আহরণের ফলে গাছে গাছে বেশি করে পরাগায়ন হয় এবং শতকরা ২০-৩০ ভাগ লিচুর বেশি ফলন হয়। এতে কৃষক ও মৌচাষী উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম