কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি ২ জাতের সূর্য্যমুখি চাষে সাফল্য এসেছে।হাইব্রীড সূর্য্যমুখির মতোই এ সূর্য্যমুখি বিঘায় ১৮ মন উৎপাদিত হয়।এর আগে হাইব্রীড সূর্যমুখি ছাড়া অন্য কোন জাতের সূর্য্যমুখি ছিলো না। ফলে কৃষক পরবর্তী বছরের চাষাবাদে জন্য বীজ রাখতে পারতে না। প্রতি কেজি হাইব্রীড বীজ ১৬ শ’ টাকায় ক্রয় করতে হতো। বারি ২ জাতের সূর্য্যমুখির বীজ সহজ লভ্য। প্রতি কেজি বীজের মূল্য ২ শ’ ৫০ টাকা। এছাড়া কৃষক এ সূর্য্যমুখি আবাদ করে পরবর্তী বছরের জন্য এ বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে আগামীতে সূর্য্যমুখি চাষ সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কৃষি বিভাগ । বারি ২ জাতের সূর্য্যমুখি চাষাবাদের উন্নত প্রযুক্তির উপর কৃষক মাঠ দিবস থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ সব তথ্য জানান।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামে পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত এক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ- পরিলক সমীর কুমার গোস্বামী। প্রকল্পের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে গোপালগঞ্জ হর্টি কালচার সেন্টারের উপ- পরিলক মোঃ আব্দুল মজিদ, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ব্রক্ষ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী ওয়ালিউর রহমান, কৃষক মোঃ আমজাদ ফকির, মোঃ জাফরউল্লাহ মোল্যাা বক্তব্য রাখেন।
গোবরা গ্রামের কৃষক মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, এ জাতের সূর্য্য মুখি বিঘায় ১৮ মন ফলেছে। কলাই ফসলের তুলনায় এ ফসল চাষাবাদ লাভজনক। আগে হাইব্রিড সূর্য্যমুখির চাষ করেছি। সে সুর্য্যমুখির বীজ রাখা যেত না। পরিবর্তী বছর ১৬ শ’ টাকা দিয়ে প্রতি কেজি বীজ কিনে এনে আবাদ করতে হতো। হাইব্রিডের তুলনায় এ সূর্য্যমুখির ফলন বেশি। নতুন এ সূর্য্যমুখির বীজ রাখা যায়। ফলে আমাদের এলাকায় এ সূর্য্যমুখির চাষ সম্প্রসারিত হবে।
কৃপ্র / এম ইসলাম