কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নড়াইল জেলায় গমচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বল্প সময় এবং লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা গম চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। জেলার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শত ৪১ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে এ বছর।
জানা গেছে, জেলার দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, চাচই, কালনা. রাজুপুর, বাকা, শিংগা, দেবী, মুলিয়া, মালিয়াট, কলোড়া, শরশুনা, সত্রহাজারী, মাইজপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ গমের আবাদ হয়েছে। স্বল্প খরচ এবং সময় কম লাগায় দিন দিন জেলার কৃষকরা গম চাষে উৎসাহী হচ্ছেন। লোহাগড়া উপজেলার দেবী গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। আমি এবছর ৩০ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে।
কালিয়া উপজেলার ভোমবাগ গ্রামের ঝিন্টু মিয়া বলেন, সময় মত গমের ভালমানের বীজ, ওষুধ এবং কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার জন্য গমের ফলন ভাল হয়েছে।
সদর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্য বলেন, গম চাষাবাদে খরচ কম হয় এবং রোগ বালাই খুব কম হওয়ায় এ বছর দুই একম জমিতে চাষ করছি ফলন ভাল হয়েছে। সিবানন্দপুর গ্রামের ইশারত শেখ বলেন, গম চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন আগ্রহী হচ্ছে এদিকে। আশা করছি, এ বছর গমের ভাল দাম পাব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, ৪ হাজার ১ শত ২৪ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৪ হাজার ২ শত ৬৫ হেক্টর জমিতে এ বছর গমের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শত ৪১ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে এ বছর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান এই কৃষিবিদ।
কৃপ্র/এম ইসলাম