কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পাবনায় লিচুর চাষ বাড়ছে। ফলন ভালো হওয়ায় লিচু উৎপাদনে খ্যাতি অর্জন করেছে পাবনা জেলার নয় উপজেলা। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৭০৭ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান করা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার লিচুর ভালো ফলন হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে পাবনায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু চাষ শুরু হয়। লাভজনক হওয়ায় অনেকে প্রথম দিকে মিশ্র ফল হিসেবে কলা বাগানে লিচু চাষ শুরু করে। লিচু গাছ বড় হয়ে গেলে অন্য গাছ কেটে ফেলা হয়। তবে এখন লিচুকে প্রধান ফল হিসেবে উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাগানে হলুদ, মরিচ ও বেগুনসহ সাথী ফসল চাষ করে কৃষক বাড়তি অর্থ আয় করছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর উৎপাদিত লিচু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০৭ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭২৫ হেক্টর, আটঘড়িয়াতে ৩৫ হেক্টর, ঈশ্বরদীতে ২ হাজার ৫১৫ হেক্টর, চাটমোহরে ২৪০ হেক্টর, ভাঙ্গুড়াতে ৭০ হেক্টর, ফরিদপুরে ১২ হেক্টর, বেড়ায় ১০ হেক্টর, সাথিয়াতে ২০ ও সুজানগরে ৮০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লিচুর আবাদ হয়েছে। এ থেকে ৪০ হাজার ৭৭৭ টন লিচু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চাষীরা জানান, গাছে মুকুল আসার আগেই অনেকে তিন-চার মাসের জন্য বাগান বিক্রি করে দেন লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে। আবার অনেকে লিচু গুটি হওয়ার পর বিক্রি করেন। লিচু আহরণের আগেই কয়েকবার হাতবদল হয় বাগানের মালিকানা। অনেক বাগানমালিক অধিক লাভের আশায় নিজেরাই পরিচর্যা করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হয়। তবে বৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। টেবুনিয়া হর্টিকালচারের উপপরিচালক মো. আজহার আলী জানান, লিচু বাগানে লাভ বেশি হওয়ার কারণে জেলায় এ ফলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম