কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নেত্রকোনায় গবাদি পশু পালনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পরেছে কয়েক লাখ পশুপাখি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরু এবং হাঁস মুরগির খামার। এছাড়া পশুপাখির খাদ্য সংকট। নেত্রকোনার হাওর এলাকাসহ দশটি উপজেলায় গত রবিবার পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত বোরো জমির পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর। তবে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩২০ হেক্টর।
মোহনগঞ্জ এবং খালিয়াজুরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষকদের ঘরে ঘরে প্রকাশ্য আর চাপা কান্নার রোল । এক মুঠো ধানও তারা ঘরে তুলতে পারেননি । গত ১৫ বছরেও তাদের এ রকম ক্ষতি হয়নি বলে তারা জানান। কৃষকরা বলেন, গত ১০ দিন যাবত্ এই বোরো ধান জমি পানির নিচে রয়েছে। ফলে এ ফসল আর রক্ষা করা যাবে না। ইতিমধ্যে পানির নিচে থাকায় তা পচেও গেছে বলে কৃষকরা জানান। পানির জন্য তারা বাড়ি ঘরে গবাদি পশুও রাখতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে নিলাম দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিকে হাওর এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, বছর বছর বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু সে বাঁধ আর নির্মাণ করা হয় না। যখন পানি আসার সময় হয়, তখন কর্তৃপক্ষ বাঁধ নির্মাণের নামে নামমাত্র কিছু মাটি ফেলেন। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। ভুক্তভুগিরা জানান হাওর এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে ভবিষ্যতে এই এলাকার বোরো ফষল রক্ষা করা আর কখনই সম্ভব হবে না। এব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম