কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে গাংনীর চিৎলা বাজার মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার কোলের বেল গাছটির বেল কেউ পাড়ে না। ডালে ডালে কাঁচা-পাকা বেল ঝুলছে। আর পথচারীরা মুগ্ধ হয়ে দেখছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে শরীর ঠান্ডা রাখতে মেহেরপুরে বেলের শরবতের চাহিদা বেড়েছে। দিন পনের আগে থেকে গাছটির বেল পেকে পড়তে শুরু করে ছে। এ পর্যন্ত দুই শতাধিক বেল পেকে পেকে পড়েছে। ওইসব পাকা বেল পর্যায়ক্রমে গ্রামের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন হোসেন আলী নামে এক যুবক।
বেল গাছটির পাশে সাইকেল মেরামতের কাজ করে ফারুখ হোসেন আলী। তিনি জানালেন, এই গ্রামে শতাধিক পরিবারের বসবাস। গ্রামের সকলেই গাছটির বেল রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছে তাকে। বেল পেকে পড়লে পর্যায়ক্রমে গ্রামের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি। এই একই কারণে কেউ কাঁচা বেল পাড়ে না। তাই গাছটিতে বেলে ভরে আছে। তিনি আরও জানান, গাছটিতে এ বছর আনুমানিক ৫ শতাধিক বেল ধরেছে গাছটিতে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি করে পাকা বেল ঝরে পড়ছে। চিৎলা বাজার মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, গাছটির বেল বড় সুস্বাদু। ফারুখ হোসেন গাছটির দেখভাল করে। সেই সকলকে বেল পৌঁছে দেয়। বিনিময়ে সে কোন অর্থ সহযোগিতা নেয় না।
এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বিদ্যাদেবী সরস্বতীকে খুশি করতে বইয়ের পাতার মাঝে বেলপাতা রেখে দেন। হিন্দু ধর্মবলম্বীদের সব পূজার উপকরণ এ বেলগাছের পাতা। সরস্বতী দেবীর পায়ের কাছে যে পূজা দেয়া হয় সেখানে থাকে বেলপাতা। এ বেলপাতা বইয়ের পাতায় রাখলে জ্ঞান বাড়ে বলে জানালেন সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থী মুজিবনগরের পূজা রাণী। মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশীল চক্রবর্তী জানান, বেলপাতা বিদ্যাদান করে সত্যি, তবে বইয়ের ভেতর জত্ন করে রাখার মধ্যে নয়। বরং প্রতিদিন ৩-৪টি পাতা ঘিয়ে ভেজে সামান্য মিছরি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেলে ক্রমশ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে বৃদ্ধদের নয়।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম