কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ এ বছর মার্চ মাসে আকস্মিক বৃষ্টিপাতে বরগুনা জেলার আমতলীতে তরমুজ, বাঙ্গি ও মুগ ডালের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষক বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর মধ্যে ওই ক্ষেতে যত সামান্য ফলন হয়েছে। বাজারে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রির জন্য কৃষক নিয়ে আসছে। বাজারে দাম পাচ্ছে না। উপজেলার হলদিয়া, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, চাওড়া, সদর ইউনিয়ন ও গুলিশাখালী ইউনিয়নে তরমুজ, মুগডাল ও বাঙ্গির চাষ বেশি হয়। প্রতি বছর কৃষক বাম্পার ফলন পেয়ে পারিবারিক দরিদ্রতা দূর করে আসছে। এ বছর ফলন ওঠার মাত্র ১৫ দিন পূর্বে অতি বর্ষণের ফলে তরমুজ, ডাল ও বাঙ্গি ক্ষেতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে কৃষক ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে। ব্যাংক, এনজিও ও মহাজনদের কাছ থেকে সুদে টাকা এনেছে। সেই টাকা শোধ দেয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে কৃষক দিশেহারা হয়ে পরেছে। একদিকে ধারের টাকা পরিশোধের চাপ অন্যদিকে পারিবারিক দরিদ্রতা ঘোচানোর কোন পথ পাচ্ছে না। অপরদিকে বিধ্বস্ত ক্ষেত থেকে সামান্য ফলন তুলে বাজারে বিক্রি করতে এনে দাম পাচ্ছে না। আমতলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আকারের একটি তরমুজ ২০/২৫ টাকা, বড় জাতের তরমুজ ৫০/৬০ টাকা এবং বাঙ্গি বড় জাতের ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুগ ডাল এক মন( ৪৬ কেজি ৫শ গ্রাম) ২হাজার ৫শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনাখালী গ্রামের কৃষক ওহাব মৃধা, হাবিব মোল্লা জানান মোগ কপাল খারাপ বাজারে তরমুজের দাম পাচ্ছি না। হাচান মৃধা বলেন তার ৩ একর মুগডাল ক্ষেত ধ্বংস হয়েছে।
সুত্রঃ সংবাদ অনলাইন/ কৃপ্র/এম ইসলাম