কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নেত্রকোনার হাওড়ে সৃষ্ট আগাম বন্যা জেলার ১০ উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়নের ৮৩টিরই নিম্ন ও হাওড়াঞ্চল এখনও প্লাবিত। আর মোহনগঞ্জের চর-হাইজদা বাঁধ ভেঙে জেলার সবচেয়ে বড় হাওড় ডিঙ্গাপোতা ও কীর্ত্তনখোলা বাঁধ ভেঙে পাঙ্গাসিয়াসহ বিভিন্ন হাওড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তলিয়ে গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এছাড়া কৃষি বিভাগের একটি সূত্রে জানা যায়, হাওড়ে যে পরিমাণ জমি প্লাবিত হয়েছে তা থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৬ টন চাল উত্পাদিত হতো, যার বাজারমূল্য ৪৬৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
গত রোববার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ৮০০ কৃষক পরিবারের মাঝে ১ কেজি করে চাল ও ৫০০ টাকা করে বিতরণ করা হয়। আর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত নগদ ১১ লাখ ও ১৫১ টন চাল গত শুক্র থেকে সোমবার পর্যন্ত বিতরণ করা হয়। দুর্গতদের সহায়তায় নতুন করে আরো বরাদ্দ আসছে। একই সঙ্গে তালিকা তৈরি করে এসব ত্রাণ-সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রদান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান।
সুত্রঃ কৃপ্র/এম ইসলাম