কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সন্ধ্যামালতী নামের সঙ্গে এ ফুলের রয়েছে অদ্ভুত এক মিল। পড়ন্ত বিকেলের শেষ ও সন্ধ্যায় এ ফুল ফোটে। সন্ধ্যা হতে না হতেই ফুল ফোটে, তাই এর নাম সন্ধ্যামালতী। সারারাতব্যাপী ফুলেরা থাকে প্রস্ফুটিত অমলিন এবং সূর্যের আলোয় ফুলগুলো ঝিমিয়ে যায়। কিছু কিছু সন্ধ্যামালতীর রয়েছে সুমিষ্ট গন্ধ, তবে সব ফুলে নয়। ফুলটি দিয়ে গাঁথা যায় বিনা সুতার মালা। সাধারণত সন্ধ্যার সময় ফুটলেও কখনো কখনো শীতের সকালেও ফুল ফুটতে দেখা যায়।
ফুল গাছের উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট ও কা- নরম হয়। এই ফুলটির আদি নিবাস আমেরিকা ও পেরুর বনাঞ্চল। ফুল দেখতে অনেকটা ধুতুরা ফুলের মতো। সাদা, লাল, কমলা, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ফুলে একসঙ্গে দুটি বা একাধিক বর্ণ দেখা যেতে পারে। সন্ধ্যামালতীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর একটি গাছেই বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটতে পারে। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে একই ফুলে বিভিন্ন রং দেখা যায় অর্থাৎ ফুলের রং পরিবর্তিত হতে পারে।
ফুটন্ত ফুলগাছ দেখতে খুবই নয়নাবিরাম। ফুল ফোটার ব্যাপ্তিকাল গ্রীষ্ম থেকে শুরু করে হেমন্তকাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ ফুল আবার সন্ধ্যামণি ও কৃষ্ণকলি নামেও পরিচিত। বর্ষাকাল ও শরৎকালে গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়। গাছের শিকড় থেকে ডালিয়ার মতো স্ফীত কন্দ জন্মায়। এ কন্দ থেকে পরবর্তী বছর গাছ জন্মানো সম্ভব। বীজ থেকেও চারা জন্মে। সন্ধ্যামালতী খুব কষ্টসহিষ্ণু।
কৃপ্র/এম ইসলাম