কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি ওমান থেকে আমদানি হচ্ছে ইলিশসদৃশ শ্যাড ফিশ। আর প্রতিবছর এ শ্যাড ফিশ আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবছরের প্রথম নয় মাসে ইলিশ আমদানি বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি। এতে দেশি মৎস্যজীবীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে । এদিকে ইলিশ ভেবে শ্যাড ফিশ ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। মৎস্য অধিদপ্তরের মতে, এই মাছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সিসা ও ক্যাডমিয়াম রয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘দেশে গত অর্থবছরে ৩ লাখ ৯৮ হাজার টন ইলিশ মাছ উৎপাদিত হয়েছে। চাহিদার প্রায় সমপরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। এ অবস্থায় ইলিশ আমদানির প্রয়োজন নেই বললেই চলে। কারণ, আমদানি বাড়লে দেশের মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এসব ভেবেই আমরা ইলিশ আমদানিকে নিরুৎসাহ করার ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মতামত দিয়েছি।’
শ্যাড ফিশ নামের ইলিশসদৃশ এ মাছ স্থানীয় বাজারে চন্দনী ও কলম্বো নামে বাজারজাত হয়। ইলিশ ভেবে এ মাছগুলো কিনে প্রতারণার শিকার হন ক্রেতারা। এ মাছ স্বাস্থ্যকর নয় বলেও মনে করছে মৎস্য অধিদপ্তর। এ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ওমান থেকে শ্যাড ফিশ এসেছে ৭ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, ২০১৪ সালে শ্যাড ফিশের কিছু নমুনা পরীক্ষা করে এতে সিসা ও ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া যায়, মানবদেহের জন্য যা ক্ষতিকর। এ ছাড়া বরফায়িত ও হিমায়িত মাছগুলো প্যাকেটজাত হওয়া থেকে আমদানি ও বাজারজাতকরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। ফলে সাধারণভাবেও তা মানবদেহের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘শ্যাড ফিশের ক্ষেত্রে কিছু নমুনা পরীক্ষা করে “ভারী ধাতুর” উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত বছরের শুরুতে এ বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি মন্ত্রণালয়ে। পরে মন্ত্রণালয় তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে। তবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আমদানি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বিদেশি ইলিশের পাশাপাশি ইলিশসদৃশ শ্যাড ফিশ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম