কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দূষণ, মাছ নিধন, বালি উত্তোলন এবং উজানে রাবার ড্যাম নির্মাণের কারণে স্বকীয়তা হারিয়ে ধ্বংস হওয়ার পথে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মত্স্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। ফলে দেশের কার্প জাতীয় মাছের ভাণ্ডার ‘রুপালি সম্পদের’ খনি খ্যাত হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছের ডিম উৎপাদন কমেছে। অত্যধিক দূষণের কারণে এরই মধ্যে হালদা নদীর ৩৭ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় হালদাকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চট্টগ্রাম জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. মমিনুল হক জানান, হালদা দূষণের মানবসৃষ্ট যেসব কারণ আছে তা বন্ধ করতে বিভিন্ন ইউনিটকে সমন্বয় করে তা রোধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরসহ বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, মানবসৃষ্ট কারণে হালদা নদী স্বকীয়তা হারিয়ে ধ্বংসের পথে।
হালদায় মা মাছের সংখ্যা কমছে। তাই প্রতি বছরই হালদায় মা মাছের ডিম ছাড়ার হার কমছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হালদার ডিম উৎপাদন শূন্যের কোটায় চলে আসবে। দূষণ এবং মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে হালদার ৩৭ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। আর যেসব মত্স্য প্রজাতি রয়েছে তাদের অবস্থাও সংকটাপন্ন। সরকারকে জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে, হালদা নদীর জীব বৈচিত্র্য ও মাছের প্রজনন নিয়ে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় হালদা দূষণের জন্য ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে সব কটিই মানবসৃষ্ট কারণ বলে উল্লেখ করা হয়। গবেষণায় হালদাকে রক্ষা করতে ১০টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশের অন্যতম হচ্ছে— শিল্প কারখানায় ইটিপি ব্যবহার, আবাসিক বর্জ্য ফেলা নিষিদ্ধ, রাবার ড্যাম প্রত্যাহার, মা মাছ নিধন রোধ, তামাক চাষ বন্ধ।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন/ কৃপ্র/এম ইসলাম