কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টেকনাফে মৌসুমি ফল ও সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত ফরমালিন ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সীমান্ত জনপদ টেকনাফের পৌর এলাকা, সদর, সাবরাং, বাহারছড়া, হ্নীলা ও হোয়াইক্যংয়ে ফরমালিনযুক্ত বিভিন্ন প্রজাতির ফলফলাদি, শাকসবজি ও মাছ দেদারছে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাকে কাজে লাগিয়ে টেকনাফে ফরমালিনের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মাত্রাতিরিক্ত ফরমালিনযুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি তারা মোটেও মাথায় রাখে না। প্রশাসনের গাফিলতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চক্রটি দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আম, কাঁঠাল, আপেল, কমলা, কলা, বেগুন, টমেটো, লিচু, শসাসহ মৌসুমী ফলমূলে এসব ফরমালিনের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীদের অনেকে বলছেন, আড়তে একটি অসাধু মহল ফরমালিনের মাধ্যমে কৌশলে এসব প্রক্রিয়াজাত করছেন। আড়ত্ সমূহে অভিযান জোরদারের মাধ্যমে টেকনাফকে ফরমালিনমুক্ত করা সম্ভব বলে অনেকে মনে করছেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমন বড়ুয়া জানান, ফরমালিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফরমালিনের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে উপজেলার ছোট-বড় ফলমূলের আড়ত্ সমূহে জরুরি ভিত্তিতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমদ জানান, ফরমালিন ও ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। টেকনাফের মানুষ যাতে কোনো ধরনের ফরমালিন ও ভেজালের শিকার না হন সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম