কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ টানা ভারি বৃষ্টিতে নাটোরের আত্রাই এবং গুড়নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলের আনন্দনগর, বেড়াবাড়ি, কালিনগর, সারদানগর, হুলহুলিয়া, চৌগ্রাম, পাটকোল, নিংগইন, বালুভরা, দমদমা সহ সিংড়ার বিভিন্ন বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ধান, ভুট্টা সহ ৩৬০হেক্টর ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেছেন নাটোর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। প্রতিকুল আবহাওয়া অপরদিকে আগাম বন্যার পানি জমিতে ঢুকে পড়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা মাঠে পাকা ধান কাটতে পারছে না। সব মিলিয়ে চলনবিলের কৃষকের মনে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।ইতিমধ্যে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সার্বক্ষণিক নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি হিসেবে মতে, উপজেলার ৬০ হেক্টর জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। পানিবন্দি আরো ৩০০হেক্টর জমি। আশঙ্কায় রয়েছে আরো প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমি।
ফসলী জমি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সহ কৃষকরা গুড়নদী থেকে বিলের প্রবেশমুখ জোড়মল্লিকা,পাটকোল, নিংগইন, বালুভরা, তেলিগ্রাম ও দমদমা এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। সকাল থেকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত সেই বাঁধ জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে চলনবিল এলাকায় পানি প্রবেশ করছিলো।তিনটি স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে অনেক এলাকার ফসল রক্ষায় কৃষকরা বাধ নির্মাণ করেছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম