কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : বাংলাদেশের শীতকালীর সবজির মধ্যে ফুল কপি অন্যতম । স্বাদে ও গুণে ভরপুর এই সবজির চাষ পদ্ধতি নীচে দেওয়া হলো ।
মাটি : আগাম ফসলের জন্য দোআঁশ এবং নাবি ফসলের জন্য এটেল ধরনের মাটি উত্তম। এটেল দোআঁশ মাটিতে জৈব সার প্রয়োগ করে ভাল ফসল জন্মানো যায়।
বীজের হার ও চারা উৎপাদন : চার তৈরির জন্য ৩x১ মি আকারের বীজতলা তৈরি করতে হবে। প্রতি হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন। ফুলকপি চাষের জন্য ৩০-৩৫ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেমি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫ সেমি হবে।
বপনের সময় : ভাদ্র আশ্বিন (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর) মাস বীজ বপন করতে হয় এবং কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ (মধ্য নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর) জমিতে চারা রোপন করা যায়।
সারের পরিমাণ :
সারের নাম সারের পরিমাণ/হেক্টর
ইউরিয়া ২৫০-৩০০ কেজি
টিএসপি ১৫০-২০০ কেজি
এমপি ২০০-২৫০ কেজি
গোবর ১৫-২০ টন
সার প্রয়োগ পদ্ধতি : জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর, সমুদয় টিএসপি ও অর্ধেক এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর চারা রোপনের ১ সপ্তাহ পূর্বে মাদায় দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়অ ও বাকি অর্ধেক এমপি সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর ৮-১০ দিন পর ১ম কিস্তি এবং চারা রোপণের ৩০- ও ৫০ দিন পর বাকি সার ২ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা : ফসলের নিবিড় যত্ন যেমন আগাছা দমন, সার প্রয়োগ পানি সেচ নিষ্কাশন, আস্তরণ ভেঙ্গে দেওয়া এবং মাটি ঝুরঝুরে রাখা আবশ্যক। ফুলকপির ফুলের রং ধবধবে সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থা থেকে চারদিকের পাতা বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হয়। অন্যথায় সূর্যালোকে উন্মোচিত থাকলে ফুলের বর্ণ হলুদাভ হয়ে যায়।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম