কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চা গাছের জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ব্ল্যাক, গ্রিন ও ওলোংসহ সব ধরণের চা উৎপাদন হওয়া ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নামের গাছটির জেনেটিক বিল্ডিং ব্লকগুলোর রহস্য উন্মোচন করেছেন। এই গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে কিভাবে চায়ের ফ্লেভারের রাসায়নিক প্রক্রিয়া। ক্যামেলিয়া সিনোনসিস বা চা গাছের বিশাল অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব স্বত্ত্বেও এই গাছের জীবন রহস্য জিনোম কোড এতদিন অজানাই ছিল।
গবেষক দলের প্রধান চীনের কুনমিং ইনস্টিটিউট অব বোটানির গবেষক লিঝি গাও বলেন, চায়ের বিভিন্ন ধরণের ফ্লেভার রয়েছে, কিন্তু চায়ের এই বিভিন্ন ধরণের ফ্লেভারের জেনেটিক রহস্যটা অজানাই ছিল। জেনেটিক ম্যাট তৈরির নতুন সিকুয়েন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা চা গাছের কিছু ফ্লেভারের উপর গবেষণা করবো।
চা গাছের জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনোম তৈরি করতে গবেষকদের ৫ বছর লেগেছে। ৩ বিলিয়ন ডিএনএ বেস পেয়ারের জিনোম কোডটি কফির জিনোমের চেয়ে চারগুণ বড় এবং এখন পর্যন্ত তৈরি করা যে কোনো উদ্ভিদের জিনোমের চেয়ে বড়। ক্যামেলিয়া গণ বা প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত ১০০টি গাছ রয়েছে যার মধ্যে বাগান সাজানোর প্রজাতিও রয়েছে। শুধুমাত্র এরমধ্যে ক্যামেলিয়া সিনেনসিস বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
গবেষকরা দেখেছেন, ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতায় ফ্ল্যাভনয়েড ও ক্যাফেইনসহ উচ্চমাত্রার রাসায়নিক রয়েছে যার ফলে চায়ের বিভিন্ন ধরণের ফ্লেভার পাওয়া যায়। অন্যান্য ক্যামেলিয়া গণের অন্তর্ভুক্ত গাছে এই দুই রাসায়নিকের উপস্থিতি অনেক কম মাত্রায় রয়েছে। ব্রিটিশ কিউ রয়েল বোটানিক গার্ডেনসের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মনিক সাইমন্ডস বলেন, এই গবেষণার ফলাফল চা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম