ড. মো. হুমায়ুন কবীর: হাওর হলো দেশের অন্যতম খাদ্য শস্যের আধার। দেশের এ বিরাট অংশ বাদ দিয়ে সারাদেশের উন্নয়ন ভাবাই যায়না। এ অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নের উপর নির্ভর করেই সেখানকার খাদ্য নিরাপত্তাসহ সারাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট অবদান রাখে। দেশের এ অঞ্চলটির মূল কৃষির উন্নতির সাথেই দেশজ কৃষির উন্নতি অনেকাংশে নির্ভর করে। সেখানকার সারাবছরের একটি মাত্র বোরো ফসলই কৃষকগণ তাদের সর্বস্ব দিয়ে উৎপাদনে বিনিয়োগ করে থাকে। সেই বিনিয়োগে যেমন থাকে আনন্দ তেমনি থাকে হাহাকারও। তেমনি একটি হাহাকারে মধ্যে দিয়ে এখন পার করতে হচ্ছে তাদের।
সময় যাচ্ছে আর আবহাওয়া, জলবায়ু, পরিবেশ ইত্যাদি দিনকে দিন বিরূপ আচরণ করছে। এর সর্বশেষ নজির হলো সাম্প্রতিক হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ বিপর্যয় যে শুধু এখন হাওরেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশময়। মাসাধিককাল ধরে প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে খবর আসছে সারাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা। কিন্তু এখন যে সময়ে যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবরগুলোর আসছে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন নয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে এর সময় ও তীব্রতা নিয়ে।
আমরা জানি গত ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখ থেকে হাওরাঞ্চলে যে উজানের পাহাড়ি ঢল শুরু হয়েছিল। তার তীব্রতায় মাসাবধি আগাম বন্যায় ফসল, মাছ, হাঁস, ব্যাঙ, গবাদিপশুসহ অন্যান্য প্রাণীকুলের যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা আমরা সকলেই বিগত কিছুদিনে উপলব্ধি করতে পারছি। অপরদিকে সারাদেশজুড়েই শুরু হয়েছে এবারে আগাম অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা। সেইসাথে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী কিংবা টর্নেডো তো রয়েছেই। দেশের বিভিন্ন নি¤œাঞ্চল পানির নিচে চলে যাওয়ায় সেসব স্থানে বর্তমানে মাঠে থাকা বোরো ধানসহ অন্যান্য সকল ধরনের কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ধান আবাদের প্রায় ৮০ শতাংশ জুড়ে থাকা বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনভাবেই পূরণযোগ্য নয়। এখন কথা উঠেছে যে এবারের বোরো আবাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কিনা। কারণ সারাদেশে প্রায় বোরোতে ৪৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি মেট্রিক টন ধান ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিণ করা হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে হাওরাঞ্চলে প্রায় দুই লক্ষাধিক হেক্টর জমির বোরো ধানের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগই বিনষ্ট হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মেট্রিক টন ধান এবং সেই পরিমাণ টাকার অংকে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের উত্তরবঙ্গে চলনবিলসহ অন্যান্য নিম্নাঅঞ্চল , দক্ষিণাঞ্চল, পূর্বাঞ্চলসহ সারাদেশেই আরো প্রায় সমপরিমাণ বোরো ধানের ক্ষতির খবরও গণমাধ্যমে হর হামেশাতেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে। তাছাড়া এসময়ে কৃষি ফসলের মধ্যে কাঁচা মরিচ, বেগুন, কুমড়া, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ঢেড়শ, শসা, বরবটি ইত্যাদি সবজি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি করেছে এ আগাম বৃষ্টিজনিত বন্যা ও ঝড়-ঝঞ্ঝা। সামনে আসন্ন রমজান মাসে এসব ফসলের কম উৎপাদনের কারণে তাদের দামের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে রমজানের নিত্যপণ্য হিসেবে দাম বাড়তে পারে কাঁচা মরিচ, শসা, বেগুন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সবজি ফসলের দামের উপর। ইতোমধ্যে সব ধরনের ধান এবং চালের মূলের উপর এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রকারান্তরে এগুলো জনস্বার্থ পরিপন্থি হতে বাধ্য।
অথচ এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছরই এমনভাবে দেখা যায় না। আমরা যখন পরিবেশ পরিবেশ কিংবা জলবায়ু জলবায়ু করে চিৎকার করি তখন সেটাকে কেউই পাত্তা দিতে চায় না। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণীই এক্ষেত্রে সত্যি হতে চলেছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় শীতে শীত থাকছেনা, গরমে গরম থাকছে না, বর্ষাকালে বৃষ্টি থাকছেনা, কখনো অতি গরম আবার কখনো বা অতি শীত আবার বর্ষা শুরু হতে না হতেই উচ্চশব্দে বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে, যা আগে কখনোই তেমন দেখা যেতো না। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি এখন আসলে তাই হচ্ছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এবারে হাওরাঞ্চলে যে আগাম বন্যায় ক্ষতি হয়ে তা বিগত ১২০ বছরে দেখা যায়নি। অপরদিকে সারাদেশে যে যে বজ্রপাত ও ঝড়-ঝঞ্ঝা বিগত প্রায় তিনদশক দেখা যায়নি। কিন্তু এসব এখন হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। যদিও দুর্যোগ ঘটে যাওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ), বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) সহ আরো অনেক সরকারি বেসরকারি সংস্থা তাদের যার যার সাধ্যমতো সেসব হাওরের দুর্গত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। সরকারের নিদের্শে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক তাদের কৃষিঋণ আদায় বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঋণের সুদ মওকুফ কওে দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হতো যদি পরিবেশ দুষণ কমিয়ে এসব দুর্যোগের হাত থেকে আগেই জানমালের রক্ষা করা যেতো।
বলতে গেলে এসবের সৃষ্টি করছি আমরা নিজেরাই। কারণ ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন আধুনিক জীবন যাপনের উপজাত হিসেবেই সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশ ধ্বংসকারী বিভিন্ন পরিবেশ বিপর্যয়কর বস্তু। পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার, গাছপালা না লাগিয়ে শুধু কর্তন, শোধন না করে শিল্প কারখানার বর্জ্য অপসারণ, বিভিন্নভাবে ক্ষতিকর গ্রিন হাউজ গ্যাস সৃষ্টি, পানির স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ করা, নদ-নদী ভারাট করে ¯্রােতধারা পরিবর্তন, অবৈজ্ঞানিক ইটভাটা স্থাপন ইত্যাদিসহ আরো অনেক কিছু। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর মানুষের কোন হাত নেই। তবে অভিযোজনের মাধ্যমে তা সংকোচনের চেষ্টা করার সুযোগ রয়েছে। এখন একটি সুন্দর আগামীর জন্য সেদিকেই আমাদের হাঁটতে হবে।
এসব আগাম বন্যা পুষিয়ে নিয়ে কিছুটা হালে পানি দেওয়ার জন্য হলেও সরকার তাদের ব্যাপকভিত্তিক পুনর্বাসন কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে। সেইসাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সবধরনের সংস্থা সমূহকে তাদেও সাহোয্যেও হাত সম্প্রসারিত করে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে সরকার। তাৎক্ষনিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ টাকা ও খাদ্য হিসেবে চাল। সেইসাথে হাঁস মাছসহ অন্যান্য গবাদিপশুর যাতে আর কোন মড়ক বা তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা না হয় সেজন্য স্ব-স্ব সরকারি বিভাগসমূহ মাঠ পর্যায়ে পুনর্বাসনের কাজ করছে।
ইতোমধ্যে হাওরের এসব বন্যাদূর্গত মানুষের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য প্রথমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হাওরের মানুষ জনাব মো. আবদুল হামিদ গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দফায় দফায় বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজকর্মী, সংসদ সদস্য, মন্ত্রীগণ তাদের হাতে থাকা সাহয্য সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে গেছেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সর্বশেষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্গত এলাকায় স্বচক্ষে দেখার জন্য মৌলভীবাজার পরিদর্শন করেছেন। সেখানে হাওরের জন্য আগামীদিনে সরকারের মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি নিজের হাতে ক্ষতিগ্রস্তদেও মাঝে কিছু ত্রাণ বিতরণ করেন। তবে তিনি সেখান বর্তমান উন্নয়র পরিকল্পনায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির বিষয়ে তাঁর অসন্তুষ্ঠির কথা জানান। তবে সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রততার সাথে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এরইমধ্যে হাওরের সমস্যা সমাধানের বিষয়টি এখন শুধু আলোচনার টেবিলে না রেখে কেমন করে ভবিষ্যতে একটি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ তাদের মতামত রাখছেন। কারণ হাওরের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। এখন যেহেতু জলবায় পরিবর্তন একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপর হয়ে প্রকৃতিতে দেখা দিচ্ছে। সেজন্য একে মাথায় নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী রাখে। কারণ যে অবস্থা বিগত ১২০ বছর দেখা যায়নি, তা এবার দেখা দিয়েছে। এবং এবারের পওে আর হবেনা এমন গ্যারান্টি এখন আর কেউ দিতে পারছেন না। মাঝে-মধ্যেই এমন দুর্যোগের সম্মুখীন হতে পারে। সেজন্য সেভাবেই পরিকল্পনা রেখে অভিযোজনের কাজটি এগেিয় নিয়ে যেতে হবে।
তবে আশার কথা ইতিপূর্বে আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্রাইসিস সম্মিলিত উদ্যোগে অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা নিরসন, দক্ষিণের উপকূলবর্তী লবণাক্ততা নিরসন, খরা ও বন্যা সহনশীলতা সহ্যকারী ফসল উৎপাদন, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলা কিংবা সিডরের পরে সেগুলো একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। সেগুলো অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে হাওরের জন্য উন্নয়ন মহাপরিকলপনা গ্রহণ করলে সার্বিক উন্নতিতে পৌঁছাতে বেগ পেগে হবে না।
বাংলাদেশ নিজেই একটি বড় বদ্বীপ। আর সেই বদ্বীপের একটি বিরাট অংশ হলো এ হাওর এলাকা। কাজেই আন্তর্জাতিকভাবে আগামী ১০০ বছরের যে বদ্বীপ বা ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ রয়েছে সেখানে হাওরের এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপভিত্তিক পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন, বাঁধ সির্মাণ, নদী খনন, সৌন্দর্য বর্ধন, কৃষি ফসল, মাছ, গবাদিপশু, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাৎসরিক বাজেট, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তারপরও এ মুহূর্তে যে বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভাবা দরকার বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। কারণ তাঁরা মনে কনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনই অকাল বন্যার মূল কারণ। জলবায়ু পরিবর্তন যে শুধু বৈশ্বিক কারণে হচ্ছে সেজন্য এক চেটিয়াভাবে বিদেশিদেরকে দোষারোপ করলে চরবে না। কিছুটা দায় নিজেদেরও নিয়ে সে মোতাবেক সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সেখানে সময়মত পুরাতন বাঁধগুলো মেরামত ও নতুন বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
তাছাড়া বর্ষার সময় বাঁধ নির্মাণে অহেতুক সময় ও অর্থ নষ্ট না কওে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি বড়জোড় মার্চের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সেগুলো শেষ করা প্রয়োজন। পানির সুষ্ঠু পরিচলনের জন্য জন্য শুধু বাঁধ নির্মাণ করলেই চরবে না। সেখানে অতিরিক্ত পানি বের করার জন্য প্রয়োজনে সুযোগ ও সময়ে বাঁধ কেটেও দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কাজটি করতে হবে ফসল তোলার ক্ষেত্রে। এপ্রিল মে মাসের দুর্যোগ দেখা দেওয়ার পূর্বেই ধাণ ফসল ঘওে তুলতে হবে। সেটার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব হলো কৃষি বিজ্ঞানীদের। কারণ নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে যেভাবে অন্যান্য দুর্যোগের সহনশীল ফসলের জাত আবিষ্কার করেছেন। এখন শুধু ধান চাষের উপর নির্ভও না করে ভাসমান পদ্ধতিতে শাক সবজি, ডাল, তেল, ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। তেমনিভাবে হাওরের জন্য উচ্চ ফলনশীল স্বল্পদিনে হয় এবং আগাম জাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যা নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীগণ কাজ করছেন। এভখাবেই সকলের সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমাদের এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।
লেখক: কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃপ্র/এম ইসলাম