কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ব্রি-ধান ৬১ থেকেই ব্লাস্ট রোগের উৎপত্তি, এ জাতটি প্রত্যাহার অথবা আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই তবে কৃষদের চাষ করার পরামার্শ দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধের উপায়ও জানান তারা।সম্প্রতি খুলনা শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগের কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন একথা জানানো হয়।
সম্মেলনে ব্লাস্ট রোগের কারণ সম্পর্কে বলা হয় এক ধরনের ছত্রাক পাইরিকুলারিয়া অরাইজী এর কারণে এই রোগ বীজ, বাতাস ও পোকার বাহনে এবং বিশেষ করে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের ব্লাস্ট রোগ দ্রুত বিস্তার ঘটে। ব্রি ধান ৬১ থেকেই রোগের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জাতটি প্রত্যাহার অথবা আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চাষ করার পরামার্শ দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহায়তাদানেরও আহ্বান করা হয় সাংবাদ সম্মেলন থেকে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ভবিষ্যতেও এ রোগ দেখা দিতে পারে। এজন্য কৃষকদের সময়মতো রোগের অনুকূল আবহাওয়া সম্পর্কে অবহিত করানোর ব্যবস্থা করা, কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, উপজেলা এবং তৃণমূল পর্যায়ে আরও বেশি কৃষিবিদ ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদ নিয়োগের ব্যবস্থা করারও কথা বলা হয়।
বীজতলা অথবা মাঠে রোগ দেখা মাত্র জমিতে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ করা, আক্রান্ত জমিতে হেক্টর প্রতি ৮০০ মিলি লিটার (বিঘা প্রতি ১০০ মিলি লিটার) হিনোসান অথবা হেক্টর প্রতি ২.৫ কেজি (বিঘা প্রতি ৩০০ গ্রাম) বেনলেট বা টপসিন এম স্প্রে করার পরামর্শও দেয়া হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। পাওয়ার পয়েন্টে ব্লাস্ট রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ প্রফসের মো. রেজাউল ইসলাম।
ব্লাস্ট রোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ এবং প্রফসের মো. রেজাউল ইসলাম।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী, প্রফেসর ড. মো. মনিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মাহতালাত আহমেদ, প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান, মোসা. সাবিহা সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃপ্র/এম ইসলাম