কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাজারে সবচেয়ে দামি ও চাহিদার মাছ হচ্ছে হাওরের দেশি মাছ। দাম যতই হোক না কেন এই মাছই খেতে পছন্দ করে হাওরবাসী। তিন সপ্তাহ ধরে হাওরের দেশি মাছ ক্রেতাদের কাছে উপেক্ষিত। অনেক মৎস্যজীবীও মাছ ধরছে না। অনেকে ধরার চেষ্টা করেও হাওরের মাছ মরে যাওয়ায় কাক্সিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। তাছাড়া ক্রেতারাও দেশি মাছের বদলে এখন পুকুরে চাষের মাছের দিকে ঝুঁকেছেন। মৎস্যজীবীরা আগের মতো মাছ ধরছেন না। বিচ্ছিন্নভাবে ১-২ জনকে মাছ ধরতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ জেলেদের নৌকা তীরে অলস পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল উপজেলার নাইদার হাওরে মাছ মরতে শুরু করে। ওইদিন থেকেই প্রশাসন প্রতিটি এলাকায় হাওরের মাছ না খাওয়ার জন্য মাইকিং করে প্রচারণা চালায়। ১৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসন হাওরে মাছ ধরার ওপর এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ও নদী কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ, আণবিক শক্তি কমিশন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সর্বশেষ কুমিল্লা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের প্রতিনিধি দল সুনামগঞ্জের হাওর পরিদর্শনে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
রিপোর্টগুলোর নমুনা ২২ এপ্রিল সংগ্রহ করে আণবিক শক্তি কমিশনের দল। তারা নিজেদের পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে অ্যামোনিয়া বৃদ্ধি, অক্সিজেন ও পিএইস কমে যাওয়াতে কথা জানিয়ে হাওরে ইউরোনিয়ামে মাছ মরার কোনো কারণই নেই বলে জানায়। এই ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ২৫ এপ্রিল হাওরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডক্টর খালেদ কনক বলেন, আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে বলে দিয়েছি দেশি মাছ খেতে ও ধরতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তারপরও মানুষের মন থেকে ভীতি দূর হচ্ছে না।
কৃপ্র/এম ইসলাম